রায়বরেলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভায় এক সাংবাদিককে নিগ্রহের অভিযোগ  অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে

রায়বরেলি, ১৩ মে – উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা চলাকালীন এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটল। আক্রান্ত সাংবাদিক রাঘব ত্রিবেদীর অভিযোগ, তিনি বিজেপির সভায় মহিলাদের কাছে কিছু প্রশ্ন করছিলেন।সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ব্যাপক  মারধর করে। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে, এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির তরফে। এই ঘটনায় সংবাদিকের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান অজ্ঞাতপরিচয় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়,  উত্তপ্রদেশের রায়বরেলিতে অমিত শাহের জনসভা ছিল। সেখানে মহিলারা এক সাংবাদিককে জানান যে, টাকা দিয়ে তাদের সমাবেশে আনা হয়েছে। ওই সাংবাদিক সেটি রেকর্ড করেন। এরপরই বিজেপির আশ্রিত গুণ্ডারা সাংবাদিককে হেনস্থা করতে শুরু করে। তারা সাংবাদিককে ভিডিওটি মুছে দিতে বলে। তিনি তা করতে অস্বীকার করলে তাঁকে মঞ্চের পিছনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। 
এমনকি বিজেপির আশ্রিত ওই গুণ্ডারা সাংবাদিকের কাছ থেকে টাকা পয়সাও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পোস্টটিতে আরও বলা হয়, গুণ্ডারা সম্প্রতি আমেঠিতে কংগ্রেস অফিসের বাইরে পার্কিং-এ রাখা করা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট নির্বাচনে পরাজয় হবে তার অভ্যাস পেয়ে হতাশ বিজেপি।
 
এই বিষয়ে এসপি সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেন, হিংসা পরাজয়ের লক্ষণ। একজন সাংবাদিক যখন রায়বরেলিতে বিজেপির সমাবেশে আগত মানুষদের টাকা দেওয়ার সত্যতা প্রমান করার চেষ্টা করছিলেন তখন তাঁর উপর হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। এটাই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার সত্য রূপ।দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশে যখন এই অবস্থা, তখন দেশের বাকী অংশের অবস্থা কতটা খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপি সহিংস পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনে জিততে চায়।
 
এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।  তিনি বলেন, সাংবাদিক রাঘব ত্রিবেদীকে রয়বরেলিতে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় বিজেপির লোকেরা নির্মমভাবে মারধর করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আর পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে তাকিয়ে ছিল। সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল কারণ তিনি কিছু মহিলার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বিজেপি সারা দেশের মিডিয়াকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে। তারা  দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিতে চায়।