রায়পুর, ৬ এপ্রিল – আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে। নির্বাচনের আগে যাতে কোনও রকম সন্ত্রাস না ঘটে, সেজন্য লাগাতার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার বিজাপুরের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে ফের তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। বিজাপুরে যৌথ অভিযান চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল ও মাওবাদী বিরোধী ফোর্স। ছত্তিশগড়ে তেলেঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায় পুজারী কাঙ্কের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। সঙ্গে ছিল ছত্তিশগড় পুলিশের একটি বাহিনীও। যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদী মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মাওবাদী দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।
ছত্তিশগড়কে মাওবাদী মুক্ত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। এদিন সকালে শনিবার রাজ্যের বিজাপুরের গভীর জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদী খতম হল। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন পূজারী কঙ্কর জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছিল সেই রাজ্যের নকশালবিরোধী বাহিনী গ্রেহাউন্ড। তাদের সঙ্গে ছিল ছত্তিশগড়ের পুলিশ বাহিনীও। এর পরই তাদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের। যৌথ বাহিনীর গুলিতে তিন মাওবাদী মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী।
গত মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের লেন্ড্রা গ্রামে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে যৌথবাহিনী। ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ব্যাটেলিয়নের যৌথ অভিযানে সেদিন ১৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। নিহতদের তালিকায় তিন জন মহিলাও ছিলেন। তারপর বিজাপুরের জঙ্গলে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শীর্ষ স্তরের মাওবাদী নেতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চলে এই অভিযান। শুক্রবারও দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর জেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় এক মাওবাদীর। পাশাপাশি সুকমায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ২ মাওবাদী। যৌথভাবে যাদের মাথার দাম ছিল ১৬ লক্ষ টাকা।