মোদিজির দেওয়া সেই ২৫০টাকাই অনুপ্রেরণা ছিল: গীতা রাবারি

গুজরাতি গায়িকা গীতা রাবারি (IANS)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির ভক্তের সংখ্যা কম নয়।গােটা দেশজুড়ে কিংবা বিদেশেই তার ভক্তের তালিকা রয়েছে চোখে পড়ার মতাে।এদিন সােশ্যাল মিডিয়া হদিশ পেল আরও এক নতুন ভক্তের।গুজরাতের একজন বিখ্যাত ফোক সিঙ্গার, তার নাম গীতা রাবারি।

তিনি নরেন্দ্র মােদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খুশিতে গান বানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গতকাল সংসদে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে, গায়িকা গীতা রাবারি প্রধানমন্ত্রীকে সেই গান শুনিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সেই বিষয়ে এদিন টুইট করে খােদ নরেন্দ্র মােদি জানিয়েছেন, গীতা রাবারির মতাে মানুষজন আমাদের সমাজকে অনুপ্রেরণা দেয়। খুবই সাধারণ পরিবারের মেয়ে, খুবই পরিশ্রমী মহিলা নিজের গানটি মন দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিলিয়ে দেয়।আমি খুবই গর্বিত তার পরিশ্রমের ও প্রশংসা করি আমি। তিনি যেভাবে গুজরাতের ফোক গানকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন,  রাজ্যের সংস্কৃতিকে যেভাবে তুলে ধরেছেন তিনি সেটা প্রশংসনীয়।


পাশাপাশি, তার ভবিষ্যতের কাজ নিয়েও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মােদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গায়িকা গীতা রাবারি জানিয়েছেন , “আমি যখন বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতাম তখন নরেন্দ্র মােদিজি সেখানে গিয়েছিলেন। আমার গান শুনে আমাকে ২৫০ টাকা উপহার দিয়েছিলেন তিনি।আর বলেছিলেন, আমার গানের গলা খুব ভালাে, আমি যেন এইভাবেই গান গাওয়া চালিয়ে যাই।’

তিনি আরও জানান, এখন আমার গুজরাতি ফোক গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। তাই আমি তাঁর কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম। নরেন্দ্র মােদির কথা বলতে গিয়েই গীতা তাঁকে বাবার সমতুল্য বলেছেন।

তিনি এও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বেটি বাঁচাও ও বেটি পড়াও এর জন্যই নিজে পড়াশুনা করতে পেরেছি। গীতা এও জানিয়েছেন , আমি মালাধারি জাতির মেয়ে, মূলত জঙ্গলেই থাকি আমরা। আমার মায়ের হাতে এসেছিল বেটি বাঁচাও ও বেটি পড়াওয়ের পােস্টকার্ড।এই সুবিধার জন্যই আমার বাবা আমাকে পড়াশুনা করাতে চেয়েছিল।