• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 April, 2025

অ্যাকাউন্টে ১২ টাকা, যুবককে ৩৬ কোটির নোটিস ধরাল আয়কর দপ্তর

গুজরাটের সবরকণ্ঠের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা জীতেশকুমার মাকওয়ানাকেই ৩৬ কোটি টাকার নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর।

প্রতীকী চিত্র

মেরেকেটে মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা। মাসের শেষে সেই টাকার প্রায় কিছুই পড়ে থাকে না। তাই সঞ্চয় করার প্রশ্নই ওঠে না। সবরকণ্ঠের যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে ছিল মাত্র ১২ টাকা। সেই যুবককেই ৩৬ কোটি টাকার নোটিস ধরাল আয়কর দপ্তর। এই নোটিস দেখে কার্যত হতবাক হয়েছিলেন ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। কোথায় যাবেন? কার কাছে বা যাবেন? এসব ভাবনাচিন্তা করেই দিন কাবার হয়ে যাচ্ছে তাঁর। কোথাও কোনও রকম সহযোগিতা না পেয়ে কার্যত অসহায়ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

সবরকণ্ঠের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা জীতেশকুমার মাকওয়ানাকেই ৩৬ কোটি টাকার নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। জীতেশ জানিয়েছেন, নোটিসে বলা হয়েছে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই টাকার উৎস জানতে চেয়েছেন আয়কর দপ্তরের এক আধিকারিক। এদিকে ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় পিওনের কাজ করেন। তাঁর মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে মাত্র ১২ টাকা। অথচ তাঁকেই নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে ৩৬ কোটি টাকার উৎস।

জীতেশকুমার বলেন ‘আমি সামান্য মাইনের চাকরি করি। ৩৬ কোটি টাকার নোটিস পেয়ে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিল। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১২ টাকা পড়ে রয়েছে। এত টাকা কোনও দিন চোখেও দেখিনি। তাই লেনদেনের প্রশ্নই ওঠে না। যা মাইনে পাই, তার সবটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। মাসের শেষে লোকের কাছে চেয়েচিন্তে সংসার চালাতে হয়। কীসের ভিত্তিতে আয়কর দপ্তর এই নোটিস পাঠাল, বুঝতে পারছি না।’

নোটিস পাওয়ার পর পরিবারের লোকজনদের পরামর্শে জীতেশ স্থানীয় থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে সাইবার শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপ্র সাইবার শাখার আধিকারিকরা আবার তাঁকে আয়কর দপ্তরে যেতে বলেন। সেখান থেকে আবার পরামর্শ দেওয়া হয়, সমস্ত নথি নিয়ে জিএসটি দফতরে যোগাযোগ করতে। একের পর এক অফিস যেতে যেতে হাঁফিয়ে উঠেছেন ওই যুবক। তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে। ওই যুবকের কথায়, ‘এ ভাবে নোটিস নিয়ে গোলচক্কর কেটে চলেছি। কিন্তু কেউই আমাকে কোনও উপায় বলে দিচ্ছে না।’