ভােট গণনায় কারচুপি করেছে, সেই সঙ্গে করেছে ক্ষমতার অপব্যবহার। এই অভিযােগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরাজিত প্রতিপক্ষ। দু’বছর ধরে ৭৩’টির শুনানির পর অবশেষে মঙ্গলবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং চুদাসামার বিধায়ক পদ বাতিল করল গুজরাত হাইকোর্ট । এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে আহমেদাবাদ জেলার ঢােলকা বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়া নেতা ভুপেন্দ্র সিং চুদাসামার। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অশ্বিনী রাঠোরকে মাত্র ৩২৭ ভােটে পরাজিত করেছিলেন।
ভােট গণনার পর গুজরাত হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কংগ্রেসের অশ্বিনী রাঠোর অভিযােগ তােলেন, কারচুকি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর এই দুর্নীতিতে সাহায্য করেছেন ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার ও ঢােলকার ডেপুটি কালেক্টর ধবল জানি। গণনার কোনও নিয়ম না মেনে ৪২৯’টি ভােট বাতিল করে দিয়েছিলেন ওই আধিকারিক। সেই কারণে কংগ্রেসের অশ্বিনী রাঠোর জয়ী হতে পারেননি।
মামলা ফাইল হওয়ার বেশ কয়েকমাস পর ২০১৮ সালে ১৭ জানুয়ারি আদালতে প্রথম শুনানি হয়। এরপর থেকে এবছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মােট ৭৩ বার শুনানি হয়েছে এই মামলার। মঙ্গলবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি পরেশ উপাধ্যায় বিজেপি বিধায়ক ভূপেন্দ্র সিং চুদাসামার বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে ঢােলকার ডেপুটি কালেক্টর ধবল জানিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির মন্ত্রিসভার আইন ও শিক্ষা সহ একাধিক দফতরের মন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা অন্যতম বিরল বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এই বিজেপি বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।