• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

মমতার জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা মোদী, রাহুলের

মোদীর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

ফাইল চিত্র

সরকারি নথি মাফিক ৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ এই দিনে প্রতি বছরের মতো তাঁকে এবারও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্মদিন পালন করেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরাও।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে, তাঁর জন্মদিনে আমার তরফে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’ প্রতি বছরই এই দিনে সৌজন্য রক্ষা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

মোদীর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কামনা করি’। জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কামনা করি।’ ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। তবে এই জন্মদিন ‘অফিশিয়াল’।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজের লেখা ‘একান্তে’ বইতে উল্লেখ করেছেন, ৫ জানুয়ারি নয়, মায়ের কথা অনুযায়ী, তাঁর জন্ম হয়েছিল দুর্গাষ্টমীতে। মুখ্যমন্ত্রী ‘একান্তে’-তে লিখেছেন, ‘মা’-র কথানুযায়ী দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পরই নাকি থেমে যায় বৃষ্টি।’ সরকারি নথি মেনে ২০২৫ সালে তিনি পা রাখলেন ৭০ বছরে।

এই দিনটিতে প্রতি বছর দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যায় কালীঘাটের বাড়িতে। আর মমতাও এই দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। বিশেষ কর্মসূচি রাখেন না। তবে যেহেতু সংগ্রামই তাঁর জীবনসঙ্গী, তাই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দেন।