• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

আঙুর বা অতি মিষ্টি আগত সন্তানের চরম শত্রু

মা হওয়া প্রত্যেক মহিলার কাছে এক স্বর্গীয় সুখ৷ তবে শুধু মা কেন গোটা পরিবারের কাছেই বাড়িতে ছোট শিশুর আগমন অন্যমাত্রার খুশির আগমন ঘটায়৷ যদিও বলা হয় শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মাকে আরেকবার জন্ম নিতে হয়৷ হবেই না বা কেন নয় মাস সন্তানকে অতি যত্নে তার গর্ভে পালন  করে মা৷ পৃথিবীর আলো দেখার আগে সন্তানের জন্য

প্রতিকি ছবি (Photo: Getty Images)

মা হওয়া প্রত্যেক মহিলার কাছে এক স্বর্গীয় সুখ৷ তবে শুধু মা কেন গোটা পরিবারের কাছেই বাড়িতে ছোট শিশুর আগমন অন্যমাত্রার খুশির আগমন ঘটায়৷ যদিও বলা হয় শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মাকে আরেকবার জন্ম নিতে হয়৷ হবেই না বা কেন নয় মাস সন্তানকে অতি যত্নে তার গর্ভে পালন  করে মা৷ পৃথিবীর আলো দেখার আগে সন্তানের জন্য কি ভালো কি খারাপ সমস্তটাই মা সামলে নেন৷ এই নয় মাস শিশুর জন্যই মায়ের যাবতীয় কাজ৷ খাওয়া থেকে কাজ সবই শিশুর ভালো থাকাকে মনে রেখে৷ বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় নারীদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয়৷ এই সময়ে নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে৷ এই পরিস্থিতিতে ছোট-বড় প্রতিটি বিষয়েই খেয়াল রাখতে হবে৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন৷
অনেক কিছুই খাওয়া নিষেধ করা হয়৷ এর মধ্যে আঙুরও রয়েছে৷ অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর আঙুর খাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ অনেক স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়া ভ্রুণের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে৷ এটি মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাডি়য়ে দিতে পারে৷ তাই এই ধরনের ভুল পরিহার করা উচিত৷ আসলে, আঙুরে পাওয়া যায় Resveratrol, যার পরিমাণ কালো এবং লাল আঙুরে বেশি৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে৷
তবে প্রাণীদের উপর পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার Resveratrol প্রজননের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় আঙুর না খাওয়ার পরামর্শ দেন৷অন্যান্য ফলের তুলনায় আঙুরে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে৷ এই কারণে, গর্ভাবস্থায় আঙুর একেবারে না খাওয়ার বা অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ প্রাকৃতিক সুগার অর্থাৎ ফ্রুক্টোজ আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়৷
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চিনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাডি়য়ে দিতে পারে৷ এটি মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ এর ফলে ম্যাক্রোসোমিয়াও হতে পারে অর্থাৎ জন্মের সময় শিশুর অতিরিক্ত ওজন৷ আঙুরে ক্যালোরি বেশি থাকে৷ এই পরিস্থিতিতে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে ওজন বাড়তে পারে৷ যার কারণে প্রসবের সময় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ঝুঁকি বেডে় যায়৷ তাই গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়া এডি়য়ে চলতে হবে৷লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ৷ এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷