• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

বাজি ফাটানোর উপর চিরতরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয় বিবেচনা করুক সরকার : সুপ্রিম কোর্ট

কোনও ধর্মই এমন কাজ করতে বলে না যাতে দূষণ ছড়াতে পারে, দিল্লির দূষণ নিয়ে এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বাজি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু দীপাবলির সময় নয়, বাজি ফাটানোর ব্যাপারে সারা বছরই কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা দরকার বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট।

কোনও ধর্মই এমন কাজ করতে বলে না যাতে দূষণ ছড়াতে পারে, দিল্লির দূষণ নিয়ে এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বাজি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু দীপাবলির সময় নয়, বাজি ফাটানোর ব্যাপারে সারা বছরই কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা দরকার বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ বলে ‘ সংবিধানের ২১ নং ধারার মৌলিক অধিকারের মধ্যেই মানুষের দূষণমুক্ত পরিবেশে বসবাস করার অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। কোনও ধর্মই এমন কোনও কাজের কথা বলে না, যাতে দূষণ ছড়ায় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ‘  

দিল্লির দূষণ মামলায় বাজি ফাটানো বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট সোমবার দিল্লি পুলিশকে তিরস্কার করে। কড়া ভাষায় সুপ্রিম কোর্ট বলে শুধুমাত্র বাজি তৈরির কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেই দায় সেরেছে পুলিশ। এটি নিছকই ‘আইওয়াশ’ বলেও পুলিশকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, দীপাবলিতে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা চোখে ধুলো দেওয়ার মতো। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লিতে বাজি কেনাবেচা বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়।

 
বাজি ফাটানোর উপর চিরতরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টিও দিল্লির সরকারকে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিবেচনা করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। বেঞ্চ বলে, ‘বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি যাতে ঠিকমতো কার্যকরী করা যায় তার জন্য দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে স্পেশাল সেল গঠন করার নির্দেশ দিচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সেই নিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।’
 
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, বাজির উপর নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা আগে থেকে জারি করা সত্ত্বেও তা কার্যকর করতে কেন ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করল দিল্লি সরকার ?  অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানান, উৎসবের মরসুমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ এই সময়েই দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই জবাবে অসন্তুষ্ট বেঞ্চ প্রয়োজনে সারা বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব দেয়। 
 
দূষণের জেরে ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে দিল্লির বাতাস।  প্রায় সকালেই বাতাসের মানের সূচক ‘খুব খারাপ’। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয় সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৪৯। অত্যধিক মাত্রার এই দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।