দিল্লি, ৩০ জুলাই– প্রায় দু’বছর ধরে গোবিন্দভোগ চাল রফতানি বন্ধ। তার জেরে রাজ্যে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ কমেছে অন্তত ২০% জমিতে, দাবি চালকল সংগঠনের। গোবিন্দভোগ চাল রফতানির উদ্দেশ্যে পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বরের জন্য অনেক দিন ধরেই দাবি জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্র এ নিয়ে বিশেষ তৎপর নয় বলে অভিযোগ।
‘গোবিন্দভোগ মিলার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর দাবি, সুগন্ধি চাল হিসেবে বাসমতীর পৃথক রেজিস্ট্রেশন থাকায় রফতানিতে বাধা নেই। অন্য চাল রফতানির জন্য ২০% অতিরিক্ত শুল্ক থাকলেও, বাসমতী চালে তা দিতে হয় না। সুগন্ধি চাল হিসাবে গোবিন্দভোগেরও পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের নানা দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পৃথক রেজিস্ট্রেশন নেই। রফতানি বন্ধ থাকায় চাষি থেকে চালকল, নানা পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সংগঠনের তরফে আগেও কেন্দ্র ও রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে নানা তথ্য চাওয়া হলে, রাজ্যের তরফে সে সবও পাঠানো হয়েছে
বলে দাবি।
পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ নানা জেলায় মোট প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ চাষ হয়। চালকলের ওই সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল রায়ের অভিযোগ, “কেন্দ্রের নীতির জন্য চালকলগুলি ধুঁকছে। গোবিন্দভোগ চাষিরাও দাম পাচ্ছেন না। তাঁরা উৎসাহ হারাচ্ছেন। এ বার রাজ্যে অন্তত ২০% জমিতে গোবিন্দভোগ চাষ কম হচ্ছে।” ধান ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, নতুন গোবিন্দভোগ ধানের ৬০ কেজি বস্তা বিক্রি হত ২৮০০ টাকায়। তা এখন ২৩০০ টাকা।
রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা তথা পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “দু’বছর ধরে পৃথক রেজিস্ট্রেশনের জন্য চেষ্টা করছি। সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব চিঠি পাঠাবেন কেন্দ্রকে।” সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকার এক যুগ্ম সচিবকে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।