সব রাজনৈতিক দলকে শান্তির বার্তা দিলেন রাজ্যপাল।

দিল্লি:- বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পরিদর্শন করতে। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন রাজ্যপাল। এর আগে কখনো কোনও রাজ্যপালকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এতোটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। বেলা শেষ আবারও সব রাজনৈতিক দলকে শান্তির বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিত পূর্ণ। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের যে ট্রেন্ড তাতে শাসক দলই যে জয় পাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এর পরে আবার ভোট পরবর্তী হিংসার মেঘ দেখা দিয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে অশান্তি কাম্য নয় গণতন্ত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ মানুষ। আর গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হিংসা। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু দুর্নীতি। ভোটের দিন একফোঁটা রক্তপাতও সার্বভৌমত্বে আঘাত। এক কথায় ভোট সন্ত্রাসের আবারও কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবং দলমত নির্বিশেষে সকলকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ভোট গণনার দিনেও জেলায় জেলায় অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যে চলেছে অশান্তি। একাধিক জায়গায় বিরোধীদের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি গণনা কেন্দ্রে। এই নিয়ে একাধিক জায়গায় তুমুল অশান্তির ঘটনা হটেছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় ঘুরেছেন। তিনি সোজা চলে গিয়েছিলেন ভাঙড়ে। ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে। যেখানে মনোনয়ন জমার দিন সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছিল। সেখানে এবার তৃণমূল কংগ্রেস হেরেছে। মাত্র একটি কেন্দ্রে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরাবুল ইসলাম তাঁর নিজের কেন্দ্রেই হেরেছে। তারপরে আবার ভাঙড়ে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙার অভিযোগও উঠেছে।