দিল্লি, ৩০ জুলাই– সরকারি বাবুদের নয়া ফর্মান৷ যাই হয়ে যাক ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে তাদের লালকেল্লায় উপস্থিত থাকতেই হবে৷ এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার লিখিত নির্দেশিকায়৷ শুধু উপস্থিত থাকার আদেশই নয়, অনুপস্থিত থাকলে তা অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে বলে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালেও গৌবা একই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন৷ তবে সেবার কোভিডকালের জন্য যুগ্মসচিব এবং তদূর্ধ্ব স্তরের আমলাদের লালকেল্লার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷
আগামী ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে প্রতিবছরই ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদির সেই অনুষ্ঠানে কোনও অজুহাতেই গরহাজির থাকা চলবে না বলে সব মন্ত্রকের সচিবকে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন ক্যাবিনেট সচিব গৌবা৷ তাতে তিনি লিখেছেন, যে যে মন্ত্রকের সচিবদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন সেদিন কোনওভাবেই অনুপস্থিত না থাকেন৷ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও অতীতে অনেক আমলা লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ শুনতে যাননি৷ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাঁরা সরকারি একটি ছুটির দিনে অনুপস্থিত ছিলেন৷ সেই দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন গৌবা তাঁর চিঠিতে৷ ক্যাবিনেট সচিব লিখেছেন, যে অফিসার বা আমলাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন সেদিন উপস্থিত থাকেন৷ আশা করা যায়, তাঁরা হাজিরা দেবেন৷ কারা কারা ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও আসলেন না, তাও নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য সকলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, এটা তাঁদের কর্তব্যের মধ্যেই পডে়৷ সচিবদের তিনি এও বলেছেন যে, তাঁরা যেন মন্ত্রকের অন্য অফিসার-আমলাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে রাখেন৷ অনুষ্ঠানে হাজির না থাকলে সেটা গুরুতর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে বলে যেন তাঁরা অন্য অফিসারদেরও জানিয়ে রাখেন, নির্দেশ গৌবার৷ সরকারি আমলাদেরও একাংশ মেনে নিয়েছেন যে, ওইদিনের অনুষ্ঠানে অনেকেই নানান কারণ দেখিয়ে গরহাজির থাকেন৷ এক আমলা জানান, এবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ অনেক আগে থাকতেই জানিয়ে দেওয়া হল যেন সকলেই ওদিন হাজির থাকেন৷ তাঁর মতে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির থাকাটাই গরিমার৷