মলদ্বীপ-ভারত সুসম্পর্ক কাম্য, ২ দেশের সম্পর্কে অবনতির জেরে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য চিনের 

দিল্লি, ৯ জানুয়ারি – দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে ভারত। তা করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটছে। চিনের দাবি, নিজেদের বিদেশনীতি নিয়ে আরও উন্মুক্ত হতে হবে ভারতকে। বিদেশনীতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত নয়াদিল্লির।  মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতির জেরে তাৎপর্যপূর্ণ এই মন্তব্য করেছে চিন।

চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বিশেষজ্ঞদের দাবি, “আঞ্চলিক প্রধান হয়ে উঠতে চাইছে ভারত। সেই জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। চিনের ওপর দোষ না চাপিয়ে ভারতের উচিত নিজেদের বিদেশনীতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা। আরও উদারমনা হতে হবে ভারতকে।” চিনের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নিজের রাজনীতির উপর ভরসা নেই ভারতের।
 
সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বিতর্কের আবহেই চিন সফরে গিয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু। তাঁর সফর চলাকালীনই মুইজুর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিল চিন। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বে কোনওদিন হস্তক্ষেপ করেনি বেজিং। চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে মলদ্বীপ নয়াদিল্লির সঙ্গে দূরত্ব তৈরী করুক, তা  কখনও  বলা হয়নি বেজিংয়ের তরফে। মলদ্বীপ এবং ভারতের সুসম্পর্ক কাম্য।  তা কখনোই চিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।