সোনা মজুতে ভারত নয়ে  

দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি– কথায় আছে এমন মহিলা পাওয়া দুষ্কর যা চকচকে হলুদ দামি ধাতু অর্থাৎ সোনার প্রতি মোহ নেই৷ আদি থেকেই মহিলাদের মধ্যে সোনা জমানোর অদম্য ইচ্ছা কাজ করে ৷ যদিও তা গহনা আকারে৷ ঠিক তেমনই আবার নানান দেশও নিজের ভাণ্ডারে সোনা মজুত করে৷ যেকোন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলত নির্ভর করে সেই দেশের কাছে মজুত স্বর্ণভাণ্ডারের ওপর৷ এই বিশেষ কারণেই বিভিন্ন দেশ নিজেদের রাজকোষে জমিয়ে রাখে সোনা৷  জমিয়ে রাখা সোনা যেকোন দেশের টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে পারে এক নিমেষে৷ এই সোনা দেশের মুদ্রার দর নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে৷ কারণ সোনার মূল্যে স্থায়িত্ব অন্য সম্পদের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে মনে করা হয়৷ অনেক দেশ গোল্ড রিজার্ভ নিয়ে ভাবিত না হলেও, বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সজাগ৷

আর সেই গচ্ছিত সোনার হিসেব-নিকেষই এবার জানাল ফোর্বস৷ কোন দেশের হাতে কী পরিমাণ সোনা জমা করে রাখা আছে, তার একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ফোর্বস৷ সেই তালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে ভারতও৷ ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি গোল্ড রিজার্ভ রয়েছে আমেরিকার৷ মার্কিনি গোল্ড রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৮১ হাজার ৩৩৬ টন৷ আমেরিকার পরই তালিকায় রয়েছে জার্মানি৷ সে দেশের ভান্ডারে প্রায় ৩ হাজার ৩৫২ টন সোনা জমানো রয়েছে৷ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইটালি৷ ইউরোপের এই দেশে জমাকৃত সোনার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৪৫১ টন৷ চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সের গোল্ড রিজার্ভ প্রায় ২ হাজার ৪৩৬ টন৷ এই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাশিয়া৷ মস্কোর ভান্ডারে প্রায় ২ হাজার ৩৩২ টন সোনা রয়েছে বলে উঠে এসেছে ফোর্বসের রিপোর্টে৷ গোল্ড রিজার্ভের নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চিন৷ ২ হাজার ১৯১ টন সোনা রয়েছে বেজিংয়ের কাছে৷ এর পর রয়েছে সুইজারল্যান্ড৷ তাদের কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০ টন৷ এর পর রয়েছে জাপান৷ জাপানের গোল্ড রিজার্ভ প্রায় ৮৪৫ টনের৷ আর এরপরই আসে ভারতের স্থান৷ ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, ভারত রয়েছে নবমে৷ ভারতের ভান্ডারে জমিয়ে রাখা সোনার পরিমাণ প্রায় ৮০০ টন৷ তালিকার দশ নম্বরে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ৬১২ টন৷