• facebook
  • twitter
Friday, 3 January, 2025

কন্যাকুমারীর সাগরে নির্মিত দেশের প্রথম কাঁচের সেতু

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর সাগরে দেশের প্রথম কাঁচের সেতু তৈরি হয়েছে। সোমবার এই কাঁচের সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর সাগরে দেশের প্রথম কাঁচের সেতু তৈরি হয়েছে। সোমবার এই কাঁচের সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। এই সেতু দুটি প্রাচীন দর্শনীয় স্থানকে সংযুক্ত করতে কাজ করবে। এই কাঁচের সেতু ব্যবহার করে, মানুষ এখন বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল থেকে তিরুভাল্লুভার মূর্তির কাছে যেতে পারে। এর ফলে স্মৃতিসৌধ থেকে মূর্তি পর্যন্ত যেতে কোনও ধরনের নৌকা লাগবে না।

৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই সেতু। এই সেতুটি এছাড়া এই সেতুর নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। তিরুভাল্লুভার মূর্তিটি ২০০০ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি স্থাপন করেছিলেন। এই মূর্তি তৈরির ২৫ বছর হতে চলেছে। সেই উপলক্ষে রাজ্যে রজত জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। রজতজয়ন্তী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতেই খুলে দেওয়া হয়েছে গ্লাস ফাইবার সেতু। শীঘ্রই এই সেতুটি মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সমুদ্রের উপর নির্মিত দেশের প্রথম কাঁচের সেতুটি ১০​মিটার চওড়া এবং ৭৭ মিটার দীর্ঘ। এই সেতু থেকে পর্যটকরা বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল এবং তিরুভাল্লুভার মূর্তি দেখতে পাবেন। এছাড়াও তাঁরা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। কাঁচের সেতু থেকে নীচের দিকে তাকালে তাঁরা সমুদ্র দেখতে পাবেন। এই সেতু নির্মাণের আগে বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধ এবং তিরুভাল্লুভার মূর্তির কাছে পৌঁছতে নৌকার সাহায্য নিতে হত।

এই কাঁচের সেতুটি তৈরি করতে সরকারের খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। এছাড়াও, এই সেতুটি দেশের পর্যটন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ এটি সমুদ্রের উপর নির্মিত প্রথম কাঁচের সেতু। ফলে বহু মানুষ এটি দেখছে আসবেন। কন্যাকুমারীকে দেশের একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ।

সমুদ্রের ওপর নির্মিত এই কাঁচের সেতুটির নকশা করা হয়েছে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি। কাঁচের সেতুটি শক্তিশালী সামুদ্রিক বাতাস সহ সূক্ষ্ম এবং বিপজ্জনক সামুদ্রিক পরিস্থিতি সহ্য করার জন্য উন্নতভাবে নকশা করা হয়েছে। এই সেতুতে মানুষের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে।

তামিলনাড়ুর জনস্বাস্থ্য কারিগরী এবং সড়কমন্ত্রী ইভি ভেলু বলন, এই জাতীয় সেতু নির্মাণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। সমুদ্রের উপর দিয়ে এবং প্রবল বাতাসের মতো অনেক অসুবিধার মোকাবিলা করার জন্য এটি প্রস্তুত করতে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হয়েছিল। কাঁচের সেতুটি কন্যাকুমারীতে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হবে।