• facebook
  • twitter
Tuesday, 7 January, 2025

গুজরাতে নাবালিকাকে নির্যাতন ১৬ বছরের কিশোরের

কিশোরী এবং তার নাবালিকা দিদি মিলে বাবা এবং মায়ের ফোনে অন্তত ৭টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তার মধ্যে দু’টি অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ছিল।

প্রতীকী ছবি

নিজের মোবাইল ছিল না। তাই বাবা মায়ের ফোন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলেছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। দিনরাত ফোনে সমাজ মাধ্যমের এক বন্ধুর সঙ্গে গল্পও করত সে। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়াবহ হবে তা বুঝতে পারিনি বছর এগারোর ওই কিশোরী। ১৬ বছরের ওই যুবক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি গুজরাতের আরাবল্লী জেলার ধানসুরা গ্রামের। অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই কিশোরীর বাবা মায়ের ফোন ঘেঁটে তদন্তকারীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তা চমকে ওঠার মত। কিশোরী এবং তার নাবালিকা দিদি মিলে বাবা এবং মায়ের ফোনে অন্তত ৭টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তার মধ্যে দু’টি অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ছিল। এই দুটির মধ্যে একটি থেকেই অভিযুক্ত কিশোরের সঙ্গে কথা বলত নির্যাতিতা। ইনস্টাগ্রামে তাদের আলাপ হয়। তারপর ধীরে ধীরে ভাব জমে ওঠে। দিনরাত ফোনে ব্যস্ত থাকত ওই কিশোরী। ফোনে কথাও হত দু’জনের।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সম্প্রতি ফোন করে কিশোরীকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিল অভিযুক্ত। সেখানেই সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। নিখোঁজ ডায়েরি পেয়ে কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশ। একই সঙ্গে কিশোরী ও তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।