উত্তর প্রদেশে ছাত্রীকে ধর্ষণে স্কুল শিক্ষকের, মৃত্যু হল নাবালিকার

প্রতীকী ছবি

আর জি করের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রতে মৃত্যু হল এক নির্যাতিতার। ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে তার শিক্ষক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রায় তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফেরা হল না তার।

ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সোনভদ্র জেলার দুধির একটি গ্রামের বাসিন্দা ছিল সে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। গত ২০ দিন ধরে ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল সে। ধর্ষণে অভিযুক্ত বিশ্বম্বর পলাতক।

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্কুলে স্পোর্টস ইন্সস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করত। ২০২৩ এর ৩০ ডিসেম্বর একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্যাতিতাকে ডেকে পাঠায় সে। সেই সময় বাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সে ওই নাবালিকাকে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।


লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিতা ছাত্রী পরিবারের সদস্যদের কিছু জানায়নি। ঘটনার পর ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।

আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য এরপর ওই ছাত্রী ছত্তিশগড়ে যায়। সেখানে তার চিকিৎসা হলেও খুব একটা লাভ হয়নি। এরপরই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং কাকিমাকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, লোকলজ্জার ভয়ে প্রশাসনকে তারা ঘটনার কথা জানাননি। কিন্তু মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১০ জুলাই বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বালিয়া জেলার বাসিন্দা বিশ্বম্ভরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিশ্বম্ভরকে গ্রেফতারের জন্য দুটি দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।