শ্বশুড়বাড়িতে গিজারে বিস্ফোরণ। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় মৃত্যু নববধূর। মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে। শৌচালয়ে স্নান করার সময় আচমকা গিজারটি ফেটে যায়। এই ঘটনায় হতবাক গোটা পরিবার। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
মীরগঞ্জ এলাকায় দামিনী নামে ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল। খুব ভোরে স্নান করতে গিয়েছিলেন নতুন বউ। সেই সময় গিজার ফেটে যায়। গিজার বিস্ফোরণের খবরে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়। তাঁরা তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময় মেয়েটির মৃত্যু হয়।
বেরেলির ভজিপুরা থানা এলাকার গ্রামের বাসিন্দা দীপকের ২২ নভেম্বর দামিনীর সঙ্গে বিয়ে হয়। দামিনী ছিলেন বুলন্দশহরের বাসিন্দা সুরজপালের মেয়ে। ২৭ নভেম্বর, বুধবার দামিনী প্রতিদিনের মতো সকালে স্নান করতে বাথরুমে গিয়েছিলেন। দামিনী অনেকক্ষণ হলেও বেরোননি। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
বাথরুমের দরজা থেকে ডাক দেন দামিনীর স্বামী দীপক। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। অবশেষে পরিবারের সদস্যরা বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরিবারের সদস্যরা দেখেন পুত্রবধূ দামিনী অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। বিস্ফোরণের পর গিজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাথরুমে এ দৃশ্য দেখে হতবাক পরিবারের সদস্যরা।
লোকজন তড়িঘড়ি করে দামিনীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ হেফাজতে নেয়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ গিজার চালু রেখে দিলে গিজার অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এতে চাপ বেড়ে যায়। গিজারে চাপ ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি ভালভ থাকে। এটিতে যে কোনও ত্রুটি থাকলে বিস্ফোরণ হতে পারে। পাওয়ার ইন্ডিকেটরের কারণেও বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে। গিজারের ত্রুটিপূর্ণ থার্মোস্ট্যাটের কারণে, জল দীর্ঘ সময় ধরে ফুটতে থাকে এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।