সারা দেশ যখন নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল এবং নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, ঠিক সে সময় আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর হুঁশিয়ারি, এ দেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতেই হবে। আর যারা তা বলবেন না, তাদের এ দেশে থাকার অধিকারই নেই। ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতাে একজন হেভিওয়েট নেতা এবং মন্ত্রীর মুখে এই কথা শােনার পর চারদিকে শোরগােল শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুনেতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি সমাবেশে যােগ দিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আমরা এই দেশটাকে ধর্মশালা করে ফেলতে চাই না। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে। ভগৎ সিং, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বােসের বলিদান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ হেন বক্তব্যের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ভগৎ সিং বা সুভাষচন্দ্র বসুরা কি কখনও ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীনতার লড়াই লড়েছিলন?
সেখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর কথায় অনেকেই অন্য দেশ থেকে এখানে এসে বসবাস করতে শুরু করেছেন। এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। তবে একটা ব্যাপারে আমাদের সকলের এতমত হওয়া উচিত। এই দেশে তারাই থাকতে পারবেন যারা ভারত মাতা কি জয় বলবেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, গােটা দেশ যখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষুব্ধ, অশান্তির আগুন জ্বলছে দেশের নানা প্রান্তে, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ হেন বক্তব্য আবার নতুন করে আগুন জলার ইন্ধন দিতে পারে।
তবে শুধু ধর্মেন্দ্র প্রধান নয়, বিজেপি-র একাধিক নেতামন্ত্রী বারবার উত্তেজনাসৃষ্টিকারী মন্তব্য করে চলেছেন। এমনকী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও বলেছেন, বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ১৫০টি দেশ রয়েছে। সেখানে তারা চলে যেতে পারে। কিন্তু হিন্দুদের জন্য একটাই দেশ রয়েছে। তা হল ভারত।