বাংলা থেকে পাঁচ নতুন মুখ ঠাঁই পেলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আর পলিটব্যুরোতে জায়গা পেলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। মহম্মদ সেলিম, রামচন্দ্র ডোম পলিটব্যুরোতে থাকলেন। বয়সের নিয়মে বাদ গেলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বয়সজনিত কারণে পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর জায়গায় এলেন ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির জন্য এবার ভোটাভুটি হয়েছে। বাংলা থেকে নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ নাম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মীনাক্ষী ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, হুগলির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, দার্জিলিংয়ের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক।
বয়সের কারণে এবারে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও রেখা গোস্বামী। সব মিলিয়ে ৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার সদস্য বেড়ে দাঁড়াল ১৫। আগে বাংলার ১৩ জন সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এবার ৩ জন বাদ পড়লেন এবং নতুন করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকে পড়লেন। পলাশ দাস, কল্লোল মজুমদার, তাপস সিনহা, জামির মোল্লারা দৌড়ে থাকলেও তাঁরা শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারলেন না।
মহারাষ্ট্রের সিটুর সভাপতি বি এল কারাডের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ভোটাভুটি হয়েছে। শেষমেশ অবশ্য কারাড কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারেননি। এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরো থেকে বাদ গেলেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, সুহাসিনী আলি, জি রামকৃষ্ণন, মানিক সরকার, সূর্যকান্ত মিশ্র। ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁরা বাদ পড়েছেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁকে রেখে দেওয়া হল পলিটব্যুরোয়।