দিল্লি, ৭ জানুয়ারি – রাজধানী দিল্লিতে পাশবিক অত্যাচারের শিকার হল ১২ বছরের এক কিশোরী। প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল তার মাসি। সেখানে অপেক্ষায় ছিল ৪ জন। ১২ বছরের কিশোরীকে নিয়ে মাসি সেখানে পৌঁছতেই গণধর্ষণ করা হয় তাকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে এক চা বিক্রেতা, এক মহিলা এবং তিন নাবালক কিশোর। রাজধানীর সদর বাজার এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো দিল্লির সদর বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকানের কাছে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাচক্রে, চায়ের ওই দোকানের মালিকও ধর্ষণে অভিযুক্ত। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি পেশায় কাগজকুড়ানি। তাঁকে কাজে লাগিয়েই কিশোরীকে ডেকে আনানো হয় চায়ের দোকানের পাশেরই একটি ফাঁকা বাড়িতে। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন চায়ের দোকানের মালিক এবং আরও তিন কিশোর।
পুলিশ জানিয়েছে, চায়ের দোকানের পাশেই অস্থায়ী এক আস্তানায় থাকতেন ওই মহিলা। কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে আনার জন্য ওই মহিলাকে কাজে লাগানো হয়। মহিলা ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে আসেন। সে-ও কাগজ কুড়ানোর কাজ করে। দোকানের পাশে একটি বাজারে প্রচুর কাগজ পড়ে রয়েছে, এ কথা বলে খুরশিদ বাজারে তাকে যেতে বলেন মহিলা। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্তেরা হাজির ছিলেন। কিশোরী সেখানে যেতেই তাকে জোর করে একটি ঘরে ঢুকিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নতুন বছরের প্রথমদিনেই গণধর্ষণের শিকার হয় ওই নাবালিকা। তবে ভয়ে এতদিন মুখ বন্ধ রেখেছিল। অভিযোগ, অভিযুক্তরা কিশোরীকে শাসান, যদি এই ঘটনার কথা সে কাউকে বলে, তা হলে খুন করা হবে। বৃহস্পতিবার খুড়তুতো এক দিদিকে সমস্ত কিছু জানায় কিশোরী । তারপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মা-বাবা পেশায় দিনমজুর। পেটের দায়ে লেখাপড়া ছেড়ে আবর্জনা কুড়িয়ে বেড়াত ১২ বছরের নাবালিকাও। যে চত্বরে আবর্জনা কুড়োত, সেখানেই এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তিনিও আবর্জনা কুড়িয়ে বিক্রি করেন। তাঁকে ‘মাসি’ বলে ডাকত নাবালিকা। ১ জানুয়ারি ওই মহিলা প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে চারজন। এদের মধ্যে এক অভিযুক্তের সদর বাজার বস্তি চত্বরে চায়ের দোকান রয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্তের বয়স ১২, ১৪ ও ১৫ বছর।