গালওয়ান উপত্যকা ভারতেরই অঙ্গ বলে মন্তব্য করেছেন লাদাখের রসুল গালওয়ানের নাতি মহম্মদ আমিন গালওয়ান। গালওয়ান উপত্যকা আবিষ্কারের পর গালওয়ানের নামেই এলাকার নামকরণ করা হয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান আমিন গালওয়ান। চিন পূর্ব লাদাখের এই অঞ্চলটি তাদের বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের পক্ষে স্থানীয় মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে এবিষয়ে পরাগত ইতিহাস জানার এক প্রয়াস চালানো হয়।
আমিন গালওয়ান জানান, সে সময় রসুল গালওয়ান এক পথ হারানো ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলকে ফিরে আসতে সাহায্য করেছিলেন। উনবিংশ শতকের শেষ পাদে ব্রিটিশ শাসনকালে তিব্বতে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিষয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। সেসময়ে কিশোর গুলাম রসুল গালওয়ান ব্রিটিশ অভিযাত্রীদের একটি দলকে পথ দেখিয়ে সাহায্য করেছিলেন। অভিযাত্রী দলটি রাশিয়ার অনুপ্রবেশ নিয়ে খবর সংগ্রহ করছিল কারণ তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের পক্ষে এক বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
আমিন গালওয়ান জানান, রসুল গালওয়ানের জন্ম ১৮৭৮ সালে। তিনি মাত্র বারো বছর বয়সে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে তিব্বত, মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, বিশেষত কারাকোরাম রেঞ্জে একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এমনই এক অভিযানের সময় আকসাই চিনে লর্ড ডানমোর এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েন। সঙ্গের যাবতীয় সরঞ্জাম বিনষ্ট হয়। রসুল গালওয়ান পথের সন্ধানে গিয়ে নদীর তীরে পৌছ। তিনি এক নতুন পথের সন্ধানের মাধ্যমে মৃত্যুমুখে পতিত অভিযাত্রী দলটিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন। তখনই লর্ড ডানমোর নদী ও উপত্যকাটির নাম দেন রসুল গালওয়ানের নামেই।
সোমবারে চিন ও ভারতীয় সেনা সংঘর্ষের বিষয়ে আমিন গালওয়ান জানান, চিন সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ১৯৬২ সাল থেকেই তাদের বলে দাবি করে আসছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই ভূখণ্ড ভারতে ছিল এবং ভবিষ্যতেও ভারতেরই থাকবে। আমাদের সেনা জওয়ানরা অসম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন, আমি তাদের আত্মবলিদানে শ্রদ্ধা জানাই। পাঁচ সপ্তাহ ধরে গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিং, দৌলত বেগ ওলডি এবং ডেমচক এলাকায় চিনা সেনা সমাবেশ নিয়ে সড়গরম ছিল এতদ অঞ্চল।