• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

গালওয়ান, শীর্ষ সেনাকর্তা স্তরের বৈঠকে ভারত-চিন

গালওয়ানে রবিবার রাত পর্যন্ত সেনা তৎপরতার যা গতি প্রকৃতি, তাতেও অনেকে অভিযানের ইঙ্গিত দেখছে।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় সোমবার ফের বৈঠকে বসেছে ভারত ও চিন। এদিন দু দেশের শীর্ষ সেনা কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ব লাদাখের চুশুলের চিনা ভূখণ্ড মলডোয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের সেনাবাহিনীর তরফ এই বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে।

একটি সূত্র বলেছে, ‘গালওয়ান সহ সব বিষয় নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হবে।’ এর আগে, গত ৬ জুন সেনাবাহিনীর এই ভরের বৈঠক হয়েছিল। সপ্তাহখানেকের উত্তেজনার পর সেই বৈঠকেই ডি-এসক্যালেশন অর্থাৎ বাহিী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ঐক্যমত্যে পৌঁছয় দু’দেশ।

তবে আলোচনার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গালওয়ান’এ বিশেষ অভিযানের জন্য পুরোপুরি তৈরি ভারতীয় সেনা। রবিবার রাত পর্যন্ত সেনা সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে ভারতের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা বাড়ছে। এ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি ঠিকই, কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় সমরসজ্জা এবং নয়াদিল্লির তৎপরতা গালওয়ানে বিশেষ অভিযানের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছে অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ। তবে এই অভিযান হতে পারে নিয়ন্ত্রিত, যাকে বলা হচ্ছে ‘লিমিটেড এরিয়া অপারেশন’।

কেননা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যেই বলে ফেলেছে যে, ভারতের ভুখণ্ডে কেউই ঢুকতে পারেনি। এখানে কেউ কোনও সেনাছাউনি দখল করতে পারেনি। এর পরে গালওয়ানে বড় মাপের অভিযান চালানো সেনাবাহিনীর পক্ষে এখনই সম্ভব নয় বলেও মনে করা হচ্ছে। আবার এলাকার বাস্তব বলছে, দ্রুত অভিযান না চালালেই নয়।

গলওয়ান, প্যাংগং হ্রদ, গোগরা উষ প্রস্রবণের মতো এলাকায় চিনা ফৌজের সক্রিয়তা বেড়েছে। এরকম চলতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতীয় ভূখণ্ডের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন সেনাবাহিনীর হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত অভিযানের দিকেই ভারত যেতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

গালওয়ানে রবিবার রাত পর্যন্ত সেনা তৎপরতার যা গতি প্রকৃতি, তাতেও অনেকে অভিযানের ইঙ্গিত দেখছে। মূলত চারটি বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রথমত, জলে-স্থলে আকাশপথে কঠোরতম নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন বাহিনীকে। দ্বিতীয়ত, কোনওরকম গোলমালের সম্ভাবনা দেখলেই যাতে জওয়ানরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন, সে জন্য বলপ্রয়োগের পূর্ণ কর্তৃত্ব এবং স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। অর্থাৎ, এবার আর নয়াদিল্লি থেকে অনুমতি আসার অপেক্ষা করতে হবে না। তৃতীয় তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তটি হল যুদ্ধাস্ত্র কেনার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে অর্থক্ষমতা দেওয়া। চতুর্থত এবং এই মুহূর্তে সম্ভবত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অভিযানের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ঘাতক প্লাটুনকে।