দিল্লি, ১৫চ মে– বেশ কিছুদিন যাবৎ বিপজ্জনক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে সিঙ্গাপুর হংকংয়ের মত দেশে খবরের শিরোনামে রয়েছে ভারতীয় মশলা৷ এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর হংকংয়েতে ভারতীয় মশলা নিষিদ্ধ৷ এবার এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’ অর্থাৎ এফএসএসএআই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে মশলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান খুঁজে বের করার অভিযান শুরু করল৷
যদিও আগেই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, কোনও মশলায় কতখানি কীটনাশক মেশানো হবে, সেই নিয়ে ভারতে যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে৷ এই ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে কড়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম৷
উল্লেখ্য, অভিযোগ এক ধরনের কীটনাশক মশলায় ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক হিসেবে৷ যার নাম ইথিলিন অক্সাইড৷ এটি কার্সিওজেনিক বলে পরিচিত৷ অর্থাৎ যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে৷ সেই উপাদান ভারতীয় মশলায় ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে এবার আরও নিখুঁত এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই এমডিএইচ ও এভারেস্টের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় মশলা নির্মাতা সংস্থার বহু পণ্যই নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর, হংক৷
দেশের খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি আইসিএআর-ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর গ্রেপস এই পদ্ধতিকে সবুজ সংকেত দিয়েছে৷ ভারত থেকে অন্য দেশে পাঠানো মশলা, বাইরে থেকে আনা মশলা এবং দেশে ব্যবহারের জন্য যে মশলা তৈরি হয়, সবই যাচাই করে দেখা হবে৷ বাদ যাবে না প্যাকেটজাত মশলাও৷ ইতিমধ্যেই দেড় হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই কীটনাশক মেশানোর মাত্রায় তারতম্য করা হয়৷