• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা উচিত নয়’ স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে এবার উদ্বেগ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ 

দীর্ঘদিন স্ট্যান স্বামীকে যেভাবে বিনা বিচারে বন্দি রাখা হয়েছিল তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে।

পাদ্রি স্ট্যান স্বামী (File Photo)

আদিবাসীদের সামাজিক অধিকার নিয়ে আজীবন লড়াই করে গিয়েছেন পাদ্রি স্ট্যান স্বামী। সেই তিনি কিনা বিনা বিচারে জেলবন্দি থাকাকালীন সােমবার মারা গেলেন। এই নিয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা ও সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই। এবার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জও। 

দীর্ঘদিন স্ট্যান স্বামীকে যেভাবে বিনা বিচারে বন্দি রাখা হয়েছিল তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। মঙ্গলবার সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘বিনা বিচারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছর বয়সি মানবাধিকার কর্মী স্টান স্বামীর। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শােকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া যেসমস্ত মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত তাদের মুক্তি দেওয়া। 

রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে আরও লেখা হয়, ‘বাকস্বাধীনতা সেই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং কোনও সংগঠন করার অধিকার সবারই রয়েছে। এই অধিকার কেউ প্রয়ােগ করলে তাকে আটক করা উচিত নয়।’

এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের মুখপত্র লিজ থ্রোসেল আগে জানিয়েছিলেন, বিগত তিন বছর ধরে স্ট্যান স্বামী এবং তার ১৫ জন সহকর্মীর মুক্তি চেয়ে ভারত সরকারের কাছে তারা বারবার আবেদন জানালেও কেন্দ্রীয় সরকার কর্ণপাত করেনি। 

এদিকে, স্টান স্বামীর মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মােদির সরকার। এবার অস্বস্তি বাড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জও। 

উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও স্টান স্বামীর সেই আবেদন অনেকদিন ঝুলে ছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা গত মাসে হলফনামা জমা দিয়ে তার এই জামিনের বিরােধিতা করে। এবং সেখানে বলা হয় স্ট্যান স্বামী সত্যিই অসুস্থ কিনা তার কোনও প্রমাণ নেই।