মুম্বই, ৩১ মে– ধর্মেন্দ্র পুত্র হিসেবে নয় তার নিজের পরিচয়ে পরিচিত সানি দেওল৷ অভিনয় ক্ষমতার জেরে এক সময় একের পর এক ছবি হিট হয়েছে৷ কিন্তু একটা সময়ের পর তিনি এবং তার ছবি দুটিই হারিয়ে যায়৷ কিন্তু তারপর ফের কামব্যাক করেন তিনি৷ গদর ২ ছবির পর ফের একবার তিনি প্রমাণ করেন তিনি এখনও সেই সানিই৷
রাতারাতি সিনেপাড়া যেন নতুন করে আবিষ্কার করেন তাঁকে৷ বেডে় যায় পারিশ্রমিক৷ অনেকেই তাঁর কাছে পৌঁছতে চাইছেন ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে৷ যেখানে সানিকে নিয়ে এতটাই বাজার গরম, ঠিক সেই সময় সামনে ফের বিপত্তিতে অভিনেতা৷ তিনি নাকি ছবি করার নাম করে ২.৫ কোটি টাকা নিয়েছেন৷ কিন্ত্ত ছবির কাজ শুরু করছেন না৷
সৌরভ গুপ্ত, যিনি রিয়েল এস্টেটের মালিক, তিনিই নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন৷ নাম সানডাউন এন্টারটেইনমেন্ট প্রাভেট লিমিটেড৷ তাঁদের পক্ষ থেকেই ২০১৬ সালে একটি স্ক্রিপ্ট নিয়ে সানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ তিনি প্রাথমিকভাবে ছবি করতে রাজিও হয়েছিলেন৷ অগ্রীম বাবদ তিনি নিয়েছিলেন মোট ১ কোটি টাকাও৷ তবে ছবির কাজ শুরু হয়নি৷ তিনি ছবির জন্য মোট ৪ কোটি টাকা নেবেন বলেছিলেন৷ এরপর ছবির কাজ শুরু করার কথা বললে তিনি আরও এক কোটি টাকা অগ্রীম চেয়ে নেন৷ তাও দিয়ে দেওয়া হয়৷ কাজ তখনও শুরু হয় না৷
সৌরভের কথায়, এরপর সানি বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দেন৷ বলেন তাঁর পারিশ্রমিক বেডে় গিয়েছে৷ তিনি ৪ কোটির বদলে ২ কোটি টাকা বাড়তি নেবেন৷ যা ছবির আয়ের অংশ৷ তাতেও সকলে রাজি হয় যায়৷ এটি একটি যৌথ প্রযোজনা সংস্থার ছবি৷ যেখানে ছবির বাজেট ছিল ৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি৷ পরবর্তীতে সানি ছবির পরিচালক বদলের দাবি রাখেন৷ তা যদিও মেনে নেওয়া সম্ভবপর হয়নি৷ কারণ ততক্ষণ বহু টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছিল৷ মোটের ওপর ২৫ কোটি টাকা৷ পরবর্তীতে যদিও সানি রাজি হয়ে যান৷ ও জানান, তাঁকে যেন আরও ৫০ লাখ দেওয়া হয়, কারণ ছেলের বিয়ে রয়েছে সামনে৷ তেমনটাই করা হয়৷ সানি জানিয়েছিলেন তিনি নতুন এগ্রিমেন্টের কাগজ তৈরি করে পাঠিয়ে দেবেন৷ কিন্ত্ত যখন নতুন কাগজ সামনে আসে, তখন দেখা যায় সেখানে ৪ ও ২ কোটি, মানে মোট ৬ কোটির বদলে লেখা রয়েছে ৮ কোটি টাকা, এবং ছবির আয়ের অতিরিক্ত ২ কোটি টাকা৷ এরপরই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করার কথা ভাবে প্রযোজনা সংস্থা৷ যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেননি সানি দেওল৷