দিল্লি, ১২ মে – প্রথম তিন দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে ২৮৩ আসনে। অর্ধেকের বেশি আসনে ভোট শেষ। সোমবার চতুর্থ দফার ভোটে আরও ৯৬ আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফার ভোটের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে এডিজি, বিএসএফ ইস্টার্ন কম্যান্ড রবি গান্ধি মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করার নির্দেশ দেন। এদিকে চতুর্থ দফার ভোট মিটলেই কংগ্রেস ও বিজেপি , দুই শিবিরের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে।
১৩ মে, সোমবার ১০ টি রাজ্যের মোট ৯৬ আসনে নির্বাচন হবে ।বাংলার বোলপুর, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, মোটি আটটি আসন ছাড়াও ভোট হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি, বিহারের ৫ টি , ঝাড়খণ্ডের ৪টি, মধ্যপ্রদেশের ৮, মহারাষ্ট্রের ১১, ওড়িশার ৪, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি আসনের নির্বাচন হবে চতুথ পর্বে। এবারও কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করার বন্দোবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আগের তিন দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় ভোটের হার বাড়ানো বাড়তি চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে সব রাজ্যে ভোট হচ্ছে, তাতে কংগ্রেস এবং বিজেপি – এই দুই শিবিরেরই ভাগ্য অনেকাংশে নির্ধারিত হতে যেতে পারে। এই পর্বে তেলেঙ্গানার সবকটি আসনে ভোট। সদ্য এই রাজ্যে বিধানসভা ভোটে জিতেছে কংগ্রেস। ১৭ টি আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে জয়ের লক্ষ্য রয়েছে কংগ্রেসের। বিজেপিও এই রাজ্যে বাড়তি আসন পাওয়ার আশায় রয়েছে । তেলেঙ্গানায় আগের বার ৪টি আসন পায় বিজেপি। ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশেও এই পর্বে অধিকাংশ আসন জিতেছিল বিজেপি। ইন্ডিয়া জোটকে ভালো ফল করতে হলে এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে হবে। এবার অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় আসন বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে বিজেপির।
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনও সোমবার। ওড়িশার যে যে লোকসভায় ভোট হচ্ছে, সেই সমস্ত এলাকার বিধানসভা ভোটও হবে সোমবারই। সেখানে সম্মুখ সমরে বিজেডি এবং বিজেপি। এই পর্বে যে সব হেভিওয়েটের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তার মধ্যে রয়েছেন, অখিলেশ যাদব, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, গিরিরাজ সিং, অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, প্রমুখ।
সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।