অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন না চার জন শঙ্করাচার্য

দেরাদুন, ১১ জানুয়ারি – অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন না চার জন শঙ্করাচার্য। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় যা রাম মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে,  সেটি এখনও অসম্পূর্ণ। এমন অসম্পূর্ন মন্দিরে ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা বা বিগ্রহের অধিষ্ঠান সনাতন ধর্ম বিরুদ্ধ বলে মনে করেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা করেন, চারজন শঙ্করাচার্য ২২ তারিখের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জানান, অযোধ্যায় যেভাবে তড়িঘড়ি মন্দির চালু করা হচ্ছে, সনাতন ধর্ম তা অনুমোদন করে না। তিনি বলেন, ‘মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমাদের হয়তো নরেন্দ্র মোদির বিরোধী বলে চিহ্নিত করা হবে। আসলে আমরা ধর্মের বিধানের বিপরীত কোনও পদক্ষেপের পক্ষে দাঁড়াতে পারি না। অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি।’

 

স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর কথায়, ‘মন্দির উদ্বোধনে তাড়াহুড়ো করা মোটেই সঠিক নয়। যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে মন্দির সম্পূর্ণভাবে নির্মাণের পর সেখানে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা উচিত ছিল।’ শঙ্করাচার্যদের এই অবস্থান সম্পর্কে বিজেপি এবং মন্দিরের নির্মাতা রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।


চার শঙ্করাচার্যের এই সিদ্ধান্ত বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত অস্বস্তির কারণ হবে তা বলাই বাহুল্য । মন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে ২২ জানুয়ারি দিনটি গোটা দেশে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি-সহ গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রামকে নিয়ে কবিতা, গল্প ইত্যাদি লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রেন্ড’ তৈরির কথাও বলেছেন।

ভোটের কারণেই প্রধানমন্ত্রী অসম্পূর্ণ মন্দির উদ্বোধন করতে চলেছেন বলে কংগ্রেস আগেই অভিযোগ করেছিল। এবার তাতে গলা মেলালেন শঙ্করাচার্যরাও। এর আগে পুরীর গোবর্ধনপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীও ঘোষণা করেন, তিনি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, কিন্তু যাবেন না। কারণ, মন্দিরে ভগবান রামের প্রতিষ্ঠা বিধি বহির্ভূত ।