ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকায়েতের হুঁশিয়ারির পর নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রতিবাদী কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে তুমুল অশান্তির জেরে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পরিস্থিতি।
তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরত চাষিদের একটা অংশ লালকেল্লায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়, সেখানে নিজেদের পতাকা তোলে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সোমবার সংসদে বিনা বিতর্কে আইনগুলি বাতিলের বিল পাশও হয়েছে।
কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলি অবস্থান প্রত্যাহারে নারাজ। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মুল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি না পেলে অবস্থান উঠবে না, আন্দোলন চলবে।
কৃষক নেতা টিকায়েতের হুমকি, ভারত সরকারের বোঝা উচিত, ওদের গুন্ডামিতে কোনও কাজ হবে না ২৬ জানুয়ারি কিন্তু বেশি দূরে নয়। ৪ লাখ ট্রাক্টর তৈরি আছে।
কৃষকরাও তৈরি সরকারের মাথা ঠিক রেখে কথা বলা উচিত। তাঁর কথায় গত বছরের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত পেয়ে দিল্লি পুলিশ আজ গাজিপুরে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে।
টিকায়েত সোমবারও জানিয়ে দেন, এমএসপি ও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা না হলে প্রতিবাদস্থল ছাড়বে না কৃষকরা। তিনি বলেন, সরকার দেশে কোনও প্রতিবাদ হোক চায় না, কিন্তু আমরা এমএসপি ও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনার আগে ধরনাস্থল ছাড়ব না।
লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ পাশ হওয়া প্রসঙ্গে টিকায়েত বলেন, এটা আন্দোলন চলাকালে জীবন দেওয়া ৭৫০ কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা। এমএসপি সহ নানা বকেয়া ইস্যুতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সোমবার বিনা বিতর্কে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলটি পেশ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ধ্বনিভোটে পাশ হয়। বিরোধীরা বিলে বিতর্ক চেয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় ওয়েলে নেমে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর বিলটি পেশ করেন।