মুক্তির ৭ মাস পরেই মৃত্যু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবার। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতে হায়দরাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাইবাবা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। গত ২০ দিন ধরে নিজাম ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (এনআইএমএস) ভর্তি ছিলেন।
চলতি বছরের মার্চে, বম্বে হাইকোর্ট তাঁকে মাওবাদী-মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছিল। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বাতিল করেছিল। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ বলেছিল, বিরুদ্ধ পক্ষ জিএন সাইবাবার বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ সালে এই মামলায় সাইবাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। এই মামলায় প্রায় ১০ বছরের সাজা ভোগ করেন তিনি।
জিএন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাম লাল আনন্দ কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৪ সালে, মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকে মাওবাদীদের সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশের পরে, তাঁর পরিবারকে অর্ধেক বেতন হয়। ২০২১ সাল থেকে সেই টাকাও বন্ধ কত্রে দেওয়া হয়। তখন থেকেই নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন সাইবাবা।
২০২৪-এর মার্চে মুক্তি পাওয়ার পর, সাইবাবা হুইলচেয়ারে বসে ১০ বছর পর নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। জিএন সাইবাবা ৫ বছর বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হন এবং সারা জীবন হুইল চেয়ারে ছিলেন। নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। সাইবাবার বিরুদ্ধে শহরে থাকার সময় মাওবাদীদের হয়ে কাজ করারও অভিযোগ ছিল।
অবশ্য খোদ সাইবাবা মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন। ২০১৪ সালে নকশালবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে UAPA-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।