• facebook
  • twitter
Saturday, 21 September, 2024

মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর

স্টেটসম্যান ওয়েব ডেস্ক: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ‘জন নায়ক’ কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আগে “ভারত রত্ন” সম্মানে ভূষিত হয়েছেন জনসংঘের নানাজী দেশমুখ, বিশিষ্ট অসমীয়া কবি ও সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কর্পুরী ঠাকুর একজন বিশিষ্ট সমাজ

স্টেটসম্যান ওয়েব ডেস্ক: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ‘জন নায়ক’ কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আগে “ভারত রত্ন” সম্মানে ভূষিত হয়েছেন জনসংঘের নানাজী দেশমুখ, বিশিষ্ট অসমীয়া কবি ও সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, কর্পুরী ঠাকুর একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবী ছিলেন। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নের জন্য অনেক অবদান রয়েছে তাঁর। ১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি বিহারের সমস্তিপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন ছাড়াও তিনি দুইবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের জুন পর্যন্ত তিনি প্রথম পর্যায়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ফের ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ প্রদানের ঘোষণা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিহারের প্রাক্তন এই বিশিষ্ট সমাজসেবীকে “সামাজিক ন্যায়বিচারের আলোকবর্তিকা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এব্যাপারে মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমি আনন্দিত যে ভারত সরকার সামাজিক ন্যায়বিচারের আলোকবর্তিকা, মহান ‘জন নায়ক’ কার্পুরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেটা এমন একটি সময়ে, যখন আমরা তাঁর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। প্রান্তিকদের অধিকার অর্পণে তাঁর নিরন্তর চেষ্টা ও সমাজে সমতা ফেরানোর কারিগর হিসেবে এটা তাঁর স্বীকৃতি স্বরূপ।”

প্রসঙ্গত কর্পুরী ঠাকুর শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দি ভাষা প্রচলনের পৃষ্টপোষক ছিলেন। মাধ্যমিকে ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক বিষয় করার বিরোধী ছিলেন। সেজন্য তিনি বিহারের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে ইংরেজিকে আবশ্যিক বিষয় থেকে সরিয়ে ঐচ্ছিক করে দেন।