দিল্লি, ৩০ মে – কেরালার তিরুঅনন্তপুরম আসনের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের প্রাক্তন সহকারী শিবকুমারকে সোনা চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হল। সূত্রের খবর, শিবকুমার এক পরিচিতের কাছ থেকে বিদেশ থেকে আনা সোনা হস্তান্তর করছিলেন। দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে তাঁকে পাকড়াও করে শুল্ক দফতর । তাঁর কাছে বৈধ সীমার অতিরিক্ত সোনা পাওয়া যায়। কাস্টমস জানিয়েছে, দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে সোনার প্যাকেট হাতে নেওয়ার মুহূর্তে আটক করা হয় শিবকুমারকে। জানা গেছে তিনি শশী থারুরের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক। ঘটনায় গ্রেফতার মোট ২ জন।
বুধবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫০০ গ্রাম সোনাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাঁদের মধ্যে একজন থারুরের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তর। শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। চাপের মুখে এই ঘটনায় মুখ খোলেন শশী থারুর ।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘এই ঘটনা শুনে আমি অবাক। ধর্মশালায় আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমার এক প্রাক্তন কর্মী যিনি বিমানবন্দরে সুবিধা প্রদানের জন্য পার্ট টাইমে কাজ করেছেন, কাস্টমসের হাতে তাঁর গ্রেফতার হওয়ার খবর কানে আসে। উনি একজন ৭২ বছরের অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ। এমনিতেই অসুস্থ, ঘনঘন ওঁকে ডায়ালিসিস করাতে হয়। তবে আমি কোনও অন্যায়কে প্রশয় দিই না। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে তাদের কাজের সম্পূর্ণ সমর্থন করি। আইন আইনের পথে চলবে। ‘
জানা গিয়েছে, দুবাই ফেরত এক ব্যক্তিকে আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শশীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক শিবকুমার প্রসাদ । বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল তাঁর। সেখানে প্রবেশ করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু একটা প্যাকেট নিতে দেখা যায় শিবকুমারকে, যা দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরের কর্মীদের। এর পর তাঁদের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৫০০ গ্রাম সোনা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। তাঁদের আটক করা হলে শিবকুমার নিজেকে শশীর সহকারি বলে দাবি করেন।
শেষ দফা ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তিরুঅনন্তপুরম কেন্দ্র থেকে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন শশী থারুর। ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় সরব হন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারির পর এবার সোনা পাচারে গ্রেপ্তার কংগ্রেস সাংসদের আপ্তসহায়ক। সিপিএম ও কংগ্রেস উভয়েই ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার। ওরা সোনা পাচারকারীদের জোট।’ উল্লেখ্য, এর আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। নাম জড়িয়ে যায় বিজয়নের মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধেও। সেই ঘটনায় ধৃত এক মহিলা অভিযুক্ত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সোনা পাচার চক্রে যুক্ত বলে দাবি করেন।