জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, খুব মেরেছে, নেপাল পুলিশের এই রূপ দেখিনি, বলছেন স্থানীয়রা

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

গত শুক্রবার ভারত নেপাল সীমান্ত বরাবর সীতামারি জেলার লালবন্দি-জানকীনগর এলাকায় নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় নিহত হয়েছে। আরও দু’জন আহত হয়েছেন। এক ভারতীয়কে আটক করে নেপাল পুলিশ। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নেপাল পুলিশ পুরো ঘটনাটি জোর করে ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানকীনগরের বাসিন্দা নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, তারা সেদিন সীমান্ত এলাকাতেই ছিলেন। থেকে রাউন্ড গুলি চালায় নেপাল পুলিশ। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। এমনকি একজনকে আটকও করা হয়।

সেদিন বিকাশ যাদব, উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নেপাল পুলিশ। মৃত্যু হয় বিকাশ যাদবের। লগান কিশোর নামের এক ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় নেপাল পুলিশ। শনিবার তাঁকে ছাড়া হয়।


পরে লগান কিশোর জানিয়েছেন, সেখানে তারা গিয়েছিলেন তাদের বাড়ির পুত্রবধুর সঙ্গে দেখা করতে। পুত্রবধু নেপালের বাসিন্দা। তারা সেখানে বসে গল্প করছিলেন। হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত নেপাল পুলিশের কর্মীরা তাঁদের লাগাতার গালাগাল করা শুরু করেন। তারা বাধা দিলে গুলি চালানো শুরু করেন পুলিশকর্মীরাও। গুলির আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়।

লগান জানিয়েছে, গুলি চালানো শুরু হতেই তারা পালিয়ে ভারতের দিকে যেতে চান। কিন্তু নেপাল পুলিশ জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যান। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। জোর করে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি তা করেননি। নইলে আরও বড় বিপদ হতে পারত তার।