• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

সরকারি অনুদান পেতে জোর করে অস্ত্রোপচার, মৃত ২, আশঙ্কাজনক ৫

সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতে সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অস্ত্রোপচার , এবং সেই অস্ত্রোপচারের জেরে ২ রোগীর মৃত্যু। এমনই ভয়ানক অভিযোগ উঠল চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে। গ্রামের কয়েকজনকে জোর করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পরই ২ রোগীর মৃত্যু হয়।

সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতে সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অস্ত্রোপচার , এবং সেই অস্ত্রোপচারের জেরে ২ রোগীর মৃত্যু। এমনই ভয়ানক অভিযোগ উঠল চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে। গ্রামের কয়েকজনকে জোর করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পরই ২ রোগীর মৃত্যু হয়। আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হয় ৫ জনকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ক্ষোভে রাগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।  বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং ওই হাসপাতালের মালিক। প্রসঙ্গত, ২ বছর আগেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল।
 
জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর আহমেদাবাদের ওই হাসপাতালের তরফে মহসেনা জেলার কাদির বোরিসানা গ্রামে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই স্বাস্থ্য শিবির থেকে ১৯ জনকে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের  বিনামূল্যেই যাবতীয় চিকিৎসা করানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালেই ১৯ জনের অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্যই জোর করে রোগীদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয়।
অস্ত্রোপচারের পরই মৃত্যু হয় ২ রোগীর। শারীরিক অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে ৫ জনকে ভর্তি করতে হয়। যে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন তাঁর নাম প্রশান্ত ভাজিরানি। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, স্টেন্ট বসানোর পরই মৃত্যু হয় তাঁদের পরিবারের লোকেদের। অভিযোগ উঠছে, কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও জোর করে অস্ত্রোপচার করানোর জন্যই মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, প্রথমে পরিবারের লোকেদের কাছে মৃত্যুর খবর গোপন করা হয়েছিল। 

এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তারা পলাতক। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়েছে আহমেদাবাদ জেলা প্রশাসন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান  ভাবিন সোলাঙ্কি, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান দেবাং দানি এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল । তবে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসকই ছিলেন না। চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর থেকে শুরু করে চিকিৎসক কারও দেখা মেলেনি। হাসপাতালের আইসিইউতে শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন মৃত রোগীর পরিবারের লোকজন।