• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

বন্যা পরিস্থিতির অ‍বনতি ত্রিপুরায়, চার দিনে মৃত্যু ‍বেড়ে কমপক্ষে ২২

প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অ‍বনতি ঘটেছে ত্রিপুরায়। চার দিনে মৃত্যু ‍বেড়ে হয়েছে কমপক্ষে ২২ জনের। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‍বিত । বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ধস নেমে একই সঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা এবং শিশুরাও।   

প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অ‍বনতি ঘটেছে ত্রিপুরায়। চার দিনে মৃত্যু ‍বেড়ে হয়েছে কমপক্ষে ২২ জনের। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‍বিত । বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ধস নেমে একই সঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা এবং শিশুরাও।   
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।


গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে প্লা‍বিত ত্রিপুরা। একাধিক নদীর জল ‍বিপদসীমার উপর দিয়ে ‍বইছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা  এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছ’টি জেলার নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। কয়েকশো বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। যার ফলে ফসলের ‍বিপুল ক্ষতি হয়েছে। 

 পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ত্রিপুরায় বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ।
রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে নেমেছে। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বায়ুসেনা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেনার কপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আগরতলায় পৌঁছেছে আরও বাহিনী।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ‍ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।   রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ে চারশোর বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ।  ত্রাণশিবিরে এখনো পর্যন্ত আশ্রয়ে রয়েছেন প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ।


বৃষ্টির কারণে বার বার ধস নামছে ত্রিপুরায়। ফলে বিপদ আরও বাড়ছে। রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না মৌসম ভবন। লাল সতর্কতা জারি রয়েছে শনিবার পর্যন্ত।