নকশাল বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় ৫ নকশালকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নকশাল বিরোধী অভিযান চলাকালীন, চিন্তাগুফা থানার অন্তর্গত দুলেদা গ্রামের জঙ্গলের কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এই বড় সাফল্য পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী মুচাকি হুঙ্গা ওরফে জাট্টি, কাওয়াসি গাঙ্গি, মাদাভি হিঙ্গা এবং আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দ্বিতীয় ব্যাটালিয়ন, সিআরপিএফ কোবরা ব্যাটালিয়ন এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা শুক্রবার শুরু হওয়ায় এই অভিযানে যোগ দেন। মুচকি হুঙ্গা ওরফে জাট্টি এবং কাওয়াসি গাঙ্গি, প্রত্যেকের জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। আর জাট্টি জেলায় বিভিন্ন হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিল।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাট্টি নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের পিডমেল রেভল্যুশনারি পার্টি কমিটির (আরপিসি) অধীনে জনতানা সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। গাঙ্গি ছিলেন কাওয়াসি গাঙ্গী বিপ্লবী আদিবাসী মহিলা সংস্থার (কেএএমএস) সভাপতি। এক আধিকারিক বলেন, তাদের দু’জনের প্রত্যেকের সন্ধান দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, মাদভি হিঙ্গা নামের নকশাল মেটাগুড়া আরপিসির অধীনে দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠনের (ডিএকেএমএস) সভাপতি ছিলেন। অন্য দুই নকশাল নিম্ন স্তরের ক্যাডার। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই পাঁচজন নকশাল চলতি বছর জেলার চিন্তাগুফা এলাকায় এক গ্রামবাসীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। ধৃত নকশালদের জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি, ছত্তিশগড় সফরের সময়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এক বছরের মধ্যে ছত্তিশগড়ে ২৮৭ জম নকশালকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ১০০০ নকশালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৮৩৭ জন আত্মসমর্পণ করেছে। এর পাশাপাশি শাহ নকশালদের হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করতে চায়, তাদের সমাজের মূল স্রোতে স্বাগত জানানো হয়।