পাঁচ ফুটের শিবলিঙ্গ মিলেছে রাম মন্দিরের জমি খুঁড়তেই। এমনটাই দাবি করেছে, মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট। আর সেই খবরে উচ্ছ্বসিত বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দীর্ঘ বিবাদ, মামলার শেষ গত বছরের ১১ নভেম্বরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বিতর্কিত জমির অধিকার পায় হিন্দুরা। এর পরে আদালতের নির্দেশেই তৈরি হয় মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট।
এর পরে গত মে থেকে অযোধ্যায় খননকার্য শুরু হয়েছে মন্দির নির্মাণের জন্য। জমি সমান করার জন্য খনন শুরু হতেই আর সেই স্থানেই মিলেছে একাধিক পুরোনো দেবদেবীর মূর্তি, শিবলিঙ্গ। এমনটাই দাবী করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসল জানিয়েছেন, খননকার্যের সময়ে সেখানে শিবলিঙ্গ সহ পাথরের তৈরি ফুল, কলসীর মতো একাধিক মন্দিরের সামগ্রী মিলেছে। এটা ফের প্রমাণ করলো ওই জমিতে মন্দিরই ছিল। তা ভেঙে পরবর্তীকালে মসজিদ বানানো হয়।
সেসব বিতর্ক অবশ্য এখন পুরননা। অযোধ্যায় এখন পাঁচ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ নিয়ে নতুন উচ্ছ্বাস। এছাড়াও মাটির তলায় মিলেছে অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি কিংবা তার ভাঙা অংশ। সঙ্গে বহু পুরনো মন্দিরের স্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ। সেগুলি নানা রঙের বেলে পাথরে তৈরি বলে দাবি করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ও বিজেপি। এই সব ধ্বংসাবশেষ হাতে আসায় মন্দির নির্মাণ এবং পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া ট্রাস্ট উচ্ছ্বসিত।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামের মন্দির নির্মাণের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের সময়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বহু আখড়া এবং মঠের বক্তব্য ছিল, ওই জমিতে আসলে আগে মন্দিরই ছিল। পরে সেটি ভেঙে তার উপরে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়। এখন মাটির তলায় মন্দির এবং মূর্তির এই ধ্বংসাবশেষ উঠে আসা সেই বক্তব্য যে সত্যি ছিল তারই প্রমাণ করে বলে তাদের দাবি।
এনিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, অনেকদিন ধরে বামপন্থী ঐতিহাসিকরা যে ইতিহাস চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের মুখোস খুলে গেল। তাঁর দাবি, সবে তে শুরু। এর পরে আরও অনেক কিছু মিলবে। সত্যের জয় হয়েছে। এবার তৈরি হবে শ্রীরামের এক ভব্য মন্দির।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের টুইট করে মাটির তলায় মেলা বিভিন্ন সামগ্রীর ছবি পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, বহু দিন ধরে রামলালার অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া হচ্ছিল। এখন প্রকৃতিই তার প্রমাণ দিচ্ছ। সত্য প্রমাণের জন্য আর কি চাই?