• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা প্রত্যাহার

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি'কে সমর্থন করায় অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলার অভিযােগ তুলে নেওয়া হল।

অজিত পাওয়ার (Photo: IANS)

এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থনে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করার তিন দিন পর নতুন বন্ধুকে বড়সড় রকমের যৌতুক দিলেন তিনি। সেচ কেলেঙ্কারির মামলাগুলির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল।

কেন এই পট পরিবর্তন– তা জানতে চাওয়া হলে, মহারাষ্ট্র দুর্নীতি দমন শাখার তরফে বলা হয়, রাজ্যে নটি সেচ কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই মামলাগুলি মূলত সেচ প্রকল্পে অনিয়মানুবর্তিতার কারণে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ওই মামলাগুলির সঙ্গে অজিত পাওয়ার জড়িত নন, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সেচ কেলেঙ্কারির মামলাগুলির কোনও সম্পর্ক ছিল না।

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি’কে সমর্থন করায় অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলার অভিযােগ তুলে নেওয়া হল। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক বলেন, ‘২০১৩ সালে সেচ কেলেঙ্কারিতে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযােগ নেই। তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে’।

মহারাষ্ট্র দুর্নীতি দমন শাখার এক আধিকারিক বলেন, বােম্বে হাইকোর্টে মামলার আপডেট পেশ করার দিন এগিয়ে আসায়– দ্রুত মামলাগুলির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০০০ টেন্ডারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোন মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল আর কোনগুলির তদন্ত চলছে, তা কোর্টকে নিয়মিতভাবে জানাতে হয়।

এনসিপি নেতা দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে দলে ৫৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। যদিও শরদ পাওয়ার বলেছেন, অজিত পাওয়ারে দাবি ভিত্তিহীন। ফড়নবিশ ক্ষমতায় আসার পর অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারির অভিযােগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস-এনসিপি জমানায় উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়ারের নাম ৭০,০০০ কোটি টাকার সেচ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেছিল। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে শরদ ও অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ইডি মামলা দায়ের করেছিল।