ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে ‘দানা’। এই মুহূর্তে তার অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ওড়িশা উপকূলে এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
‘দানা’ আছড়ে পড়ার আগেই অগ্নিমূল্য ওড়িশার বাজারদর। আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আনাজের দাম আকাশছোঁয়া।
রবিবার পর্যন্ত ওড়িশায় আলুর দাম ছিল ২০ টাকা কেজি। ঘূর্ণিঝড় আসার খবর পেয়েই বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। পেঁয়াজ বিকোচ্ছে ৪০-এর পরিবর্তে ৭০ টাকা প্রতি কেজি।
আর এই খবর চাউর হতেই ওড়িশার বিভিন্ন বাজারে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন আমজনতা। ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই বাজার থেকে কম দামে আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য আনাজ ব্যাগে ভরতে মরিয়া সেখানকার বাসিন্দারা।
ওড়িশার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই বাজারদর অগ্নিমূল্য। আলু, পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে টমেটো, বেগুন, ঢেঁড়স, বিনস-সহ সমস্ত সব্জির। প্রতিটি সব্জির কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। টমেটোর দাম ইতিমধ্যেই ১০০ টাকা ছুঁয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বাজারদর বেশি থাকায় ইতিমধ্যেই মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। তাঁদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাতেই একলাফে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুর্যোগের আশঙ্কায় বাজার অগ্নিমূল্য নয়। রাজ্যে সমস্ত আনাজ কম সরবারহ হচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়েছে সমস্ত কিছুর।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব কি পড়তে চলেছে রাজ্যে এবং কীভাবেই তা মোকাবিলা করা যায়, এই বিষয়ে সোমবারই বৈঠকে বসেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘূর্ণিঝড়ের নাম করে যে সকল ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করবেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে।