বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আইনজীবী বিনীত জিন্দাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছেন। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন এই আইনজীবী। অভিযোগের কপি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাষ্ট্রপতির কাছেও। ‘বাংলা জ্বললে অসম, উত্তর–পূর্বাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খন্ড, এমনকি দিল্লিও থেমে থাকবে না’, মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল।
বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা উস্কানিমূলক ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সভায় আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দোষীর ফাঁসির সাজা চান। এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে আক্রমণ করেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কিছুটা হুমকির সুরে তিনি বলেন, “অনেকেই মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। আমি ওঁদের ভালবাসি। ওঁদের ও আমাদের সংস্কৃতি এক। তবে ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না। বাংলায় আগুন লাগালে অসম থেমে থাকবে না, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেমে থাকবে না। উত্তর প্রদেশ , বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেমে থাকবে না, দিল্লিও থেমে থাকবে না। তিনি বলেন, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন ? আপনার চেয়ার আমরা টলোমলো করে দেব।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। বৃহস্পতিবার দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫২, ১৯২, ১৯৬ ও ৩৫৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বিনীত জিন্দাল লিখেছেন, “তাঁর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, যে এই ধরণের মন্তব্য প্ররোচনামূলক এবং রাষ্ট্রবিরোধী। বিভিন্ন অঞ্চলের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা ও ঘৃণা ছড়িয়ে পড়তে পারে।” সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আরও লেখেন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানুষের উপর তাঁর এই মন্তব্যের প্রভাব পড়তে পারে। সাংবিধানিক পদে থেকেও এই মন্তব্যের জেরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে।