• facebook
  • twitter
Monday, 7 April, 2025

বিকাশের জন্য আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়াতে হবে

ভারত সম্পর্কে সমীক্ষক সংস্থা

প্রতীকী ছবি।

আর্থিক বৃদ্ধির হারে মাইলফলক ছুঁয়েছে ভারত। জাপান-জার্মানিকে ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি। এই কথাগুলো কেন্দ্রের শাসকদের মুখে বারবার শোনা যায়। বিভিন্ন সমীক্ষা তুলে ধরে এই সব নেতা নেত্রীরা দাবি করেন বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে একে অভূতপূর্ব জায়গায় রয়েছে ভারত। কিন্তু সমীক্ষক সংস্থা ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন মত পোষণ করছে। এই সংস্থা জানাচ্ছে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণের জন্য সেই বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। নতুন করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে মোদী সরকারকে।

বিখ্যাত ওই সমীক্ষক সংস্থা বলছে, এতদিন পর্যন্ত সরকার যে পরিসংখ্যান দিয়ে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে ২০১৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার। চলতি বছরে সেটাই বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপির সূচক। এই তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুনিয়ার সেরা পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ। এই গতি বজায় থাকলে চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে জাপানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ২০২৭ সালে ভারতের কাছে হার মানবে জার্মানি। কিন্তু ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচের সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সফল করতে গেলে বৃদ্ধির হার আরও বেশি হতে হবে। সেটার জন্য নীতি বদলের প্রয়োজন। আসলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরতে চায়। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে অনেক বেশি বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাছাড়া মোদী সরকারের টার্গেট ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিকশিত ভারত হিসাবে তুলে ধরা। এই হারে বৃদ্ধি হলে সেটাও কখনোই সম্ভব হবে না।

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ বলছে, যে হারে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হচ্ছে সেটা সন্তোষজনক। আইএমএফের পর্যবেক্ষণ, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকাঠামো হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেবে ভারত। আইএমএফের তরফে সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে খুবই মজবুত ও স্থিতিশীল জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও রকম পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার মতো মজবুত জায়গাতেও রয়েছে তারা। ভারতে যে ধরনের উচ্চমানের কাজের ক্ষেত্র নিয়মিত উন্মুক্ত হচ্ছে, তাতে অর্থের হাতবদলও হবে বড় মাত্রায়। তাতেই আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে আশাবাদী আইএমএফ।