দিল্লি, ২২ মে – আগামিকাল, বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর, পাতিয়ালা ও জলন্ধরে নির্বাচনী সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মোদির সভায় কৃষকদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকায় রয়েছে বিজেপি। আপ শাসিত পাঞ্জাবে মোদির আসন্ন নির্বাচনী প্রচারসভায় রাজ্যের কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। সেই অস্বস্তি এড়াতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভা পন্ড করার চেষ্টা না করে আগাম স্মারকলিপি বা দাবিসনদ পেশ করতে।সেই দাবিসনদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুনীল জাখর বলেন, কৃষক সংগঠনগুলির উচিত একটি সমঝোতায় আসা। তাঁরা কী চান, আগে সেটা স্থির করুন। কারণ তাঁদের এক-একজনের এক-এক দাবি রয়েছে। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে বিজেপির ১৩ জন লোকসভা ভোটের প্রার্থীই রোজ কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় তাঁদের প্রচার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ।
বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মনোরঞ্জন কালিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা পন্ড করার চেষ্টা না করে কৃষকদের উচিত বিস্তারিত দাবিপত্র জমা দেওয়া। আমরা তাঁদের নিশ্চিত জানাচ্ছি, সেই দাবিপত্র মোদির হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে তাঁদের সমস্যা দ্রুত মেটার আশা ও পরিবেশ দুইই তৈরি হবে। কিন্তু মোদির সভা চলাকালীন গন্ডগোল করার চেষ্টা করলে কোনও সমাধান মিলবে না।
এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিরাপত্তা বিষয়ক পদস্থ কর্তারা পাতিয়ালা, গুরুদাসপুর এবং জলন্ধরের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বারংবার বৈঠকে বসছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাঞ্জাব সফরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নির্দেশে জলন্ধর পুলিশ-প্রশাসন বৃহস্পতিবার জেলাকে ‘নো ফ্লাইং’ জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় বিক্ষুব্ধ কৃষকদের অবরোধের মুখে পড়ে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি উড়ালপুলের উপর বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়ে ।