• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

ফাদার অফ রেডিও

রধীন চন্দ্র আমিন সাহানী রেডিও জগতের গত ৪ দশকের একটি জাদুকরী গলা যিনি তার গলার মাদ উঠেছে ৪২ বছর রাজত্ব করেছেন বেতার জগতের একটি সংগীত মালা অনুষ্ঠানে৷ আমিন সাহানি গলার মাদকতায়, সপ্তাহে ৬৫ হাজার চিঠির পাহাড় জমা হতো, এই অনুষ্ঠানের জন্য৷ মাত্র আধ ঘন্টার একটি অনুষ্ঠান এবং সপ্তাহে একটি মাত্র দিনের অপেক্ষায় দিন গুণতো শ্রোতাকুল,

রধীন চন্দ্র
আমিন সাহানী রেডিও জগতের গত ৪ দশকের একটি জাদুকরী গলা যিনি তার গলার মাদ উঠেছে ৪২ বছর রাজত্ব করেছেন বেতার জগতের একটি সংগীত মালা অনুষ্ঠানে৷ আমিন সাহানি গলার মাদকতায়, সপ্তাহে ৬৫ হাজার চিঠির পাহাড় জমা হতো, এই অনুষ্ঠানের জন্য৷ মাত্র আধ ঘন্টার একটি অনুষ্ঠান এবং সপ্তাহে একটি মাত্র দিনের অপেক্ষায় দিন গুণতো শ্রোতাকুল, কর্ণকুহারে সেই মাধুকরী গলার জাদুর সম্মনিতে মজতে৷ পাঁচ দশকের মতন রেডিও জগতকে তার মোহময় গলায় শাসন করেছেন শ্রোতাদের অভিভূত করে রেখেছেন তার গলার কারুকার্যের মধ্যে দিয়ে৷
আমিন সাহানি কোন সাধারণ পরিবারের ছিলেন না তার বাবা পেশায় ডাক্তার মা স্বাধীনতা সংগ্রামী তার বড় ভাই হামিদ ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত রেডিও ব্রডকাস্টার মূলত তার বড় ভাইয়ের হাত ধরে রেডিও জগতে আসা প্রথমে একজন ইংরেজি প্রেজেন্টার হিসেবে রেডিও জগতে প্রবেশ করা এরপর একসময় অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাথে ওতপ্রোতভাবে জডি়ত হওয়া এবং শিবাকা গীত মালা ২০৬১ টি ভিডিও অনুষ্ঠান করা, অল ইন্ডিয়া রেডিও শিবাকা গিত মালায় সপ্তাহে ৪০০ টি চিঠি আসতো, এক সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের সংগীত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এবং রেডিও সাইলন সেই সুযোগটি কাজে লাগায়৷ সেই সময় আমিন সাহানি মাত্র পঁচিশ টাকা সাপ্তাহিক সাম্মানিক হিসেবে এই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নেন এবং সপ্তাহে ৬৫০০০ চিঠি এই অনুষ্ঠানের জন্য জমা পডে়ছিল৷
আমিন সাহানি ৯১ টি বসন্ত অতিক্রম করে ইহকাল থেকে পরলোক, না ফেরার দেশে যাত্রা করলেন ঠিকই, কিন্ত্ত তার কণ্ঠস্বরটি অমর হয়ে রইল, পঞ্চাশ হাজার বেতার অনুষ্ঠানের মধ্যে এবং ১৯ হাজার বিজ্ঞাপন জিংগেলের মধ্যে৷ এই পেশা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি সিনেমার জন্য তাঁর কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়েছেন ‘লাগান’ এবং আরো দুটি সিনেমার বিজ্ঞাপনের জন্য৷ তিনি ছিলেন ফাদার অফ রেডিও জকি ফর ইন্ডিয়ান রেডিও সে সময় যখন ভারতের রেডিও জগত এত উন্নত হয়নি এফএম এর এত ছড়াছডি় ছিলনা রেডিও জকির মতন কোন নতুন পদ ছিল না তিনি কিন্ত্ত আগামী প্রজন্মকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন রেডিও জগতে কিভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব গলার মাধুকারি জাদুকরি এবং অনন্য কারিগরিতে দর্শকদের আনন্দদান মোহিত করে রাখা এবং এন্টারটেইনমেন্ট রেডিওর মাধ্যমে কিভাবে সম্ভব তার এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন৷