জম্মু-কাশ্মীরে আইসিস এবং আল কায়েদা গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা ফ্রান্সের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। এই সমস্ত গোষ্ঠীগুলির পিছনে অর্থ ঢালার বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে এফএটিএফ। সতর্ক করে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে, আল কায়েদার দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির জঙ্গি আক্রমণের মোকাবিলা করতে হতে পারে ভারতকে।
ফ্রান্সের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বৃহস্পতিবার তাদের সদর কার্যালয় থেকে বলে , ভারতে অর্থ তছরুপের উৎস সেদেশের অভ্যন্তরেই রয়েছে। ভারতেই অবৈধ কার্যকলাপ চলে।
অর্থ তছরুপ এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপে ভারত মাঝারিমানের ভূমিকা নিচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থাটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৫ বছরে অর্থ তছরুপের অপরাধে ভারতে দোষী সাব্যস্তের ঘটনাকে প্রভাবিত করেছে সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতা ও আদালত ব্যবস্থা। কারণ, ভারতের আদালতগুলিতে প্রচুর মামলা বকেয়া পড়ে থাকে।
রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ভারতে ইডি গত পাঁচ বছরে সন্দেহভাজন অপরাধীদের কাছ থেকে ১০৪০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বাজেয়াপ্ত সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। এই সংস্থার মতে, তার কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার ও মামলা শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় বলে।
এদিকে কাশ্মীরে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই বলে কাশ্মীরের সভা থেকে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও বাতিল হয় । ৩৭০ ধারা লোপ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন, তখন পূর্ণ রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি আমরা । গোটা দুনিয়া দেখছে আর বিস্মিত হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কাশ্মীরের ৩ পরিবারের বিরুদ্ধে সরব। এদিন ফের আবদুল্লা পরিবার, মুফতি পরিবার এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
মোদির দাবি, ” জমুরিয়ত, কাশ্মীরিয়ত শেষ করেছে তিন পরিবার। কোন পরিস্থিতে ভোট হত স্মরণ করুন। এখন রাতেও প্রচার হয়। গণতন্ত্র উদযাপন হচ্ছে । পবিত্র তীর্থক্ষেত্রগুলোও সুরক্ষিত । এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়।” প্রধানমন্ত্রী সগর্বে বললেন, “কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোঁড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের আগামী প্রজন্ম নতুন ভাবে তৈরী হচ্ছে ।”