করোনার নতুন প্রজন্ম ওমিক্রনের দ্বারা দেশে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম, আর এটা সম্ভব কেননা দেশে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই দাবি জানান হয়।
পাশাপাশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের পূর্বের সংক্রমণের থেকে অনাক্রমতা এড়ানোর লক্ষণীয় ক্ষমতা রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই মুহুর্তে টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দেশের সর্বত্র টিকাকরণ কর্মসূচিকে জোরদার করতে হবে। টিকাকরণ কেন্দ্রগুলোয় টিকা রয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে যে কোনও ধরনের জটিল রোগে আক্রান্তদের ওমিক্রনের হাত থেকে সুরক্ষিত করা যাবে। করোনার এই নতুন প্রজন্মের দ্বারা ভারত সহ বেশ কিছু দেশে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কী প্রভাব পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘দেশে টিকাকরণের দ্রুত হার ও ডেল্টা প্রজাতির করোনা ভাইরাসের প্রকাশ (যা মূলত উচ্চ সেরোপজিটিভিটি প্রমাণ) হওয়ায় রোগের তীব্রতা কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনার নতুন প্রজন্ম ওমিক্রনকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ৯২১৬ জন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড পজিটিভের সংখ্যা এক লাখের নিচে। ফলে টিকাকরণের হার ১২৫ কোটির মাত্রা পেরিয়ে গেছে। আজই ৭৩.৬৭ লাখ টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে।