‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত হলেও কৃষকেরা আন্দোলন বন্ধ করেছেন না। রবিবার কৃষকেরা একটি মোমবাতি মিছিল করবেন। সোমবার কৃষকদের সমস্যা নিয়ে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক সংগঠনের নেতারা আবারও নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকেই ঠিক হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে চণ্ডিগড়ে কৃষক নেতাদের যে বৈঠক হয়েছিল তাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কোন পথ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন কৃষক নেতারা। তবে কৃষক নেতা সরবন সিংহ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে এখনো তাঁদের কাছে বৈঠক সংক্রান্ত কোনও সরকারি চিঠি আসেনি।
নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকেরা। বুধবার সকালে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক খা নৌরি এবং শম্ভু সীমানা পেরোনোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শুভকরণ সিংহ নামে বছর ২১-এর এক যুবকের। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকেরা। মৃত যুবকের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব সরকার। যদিও সেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করে নিহত কৃষকের পরিবার। তাদের দাবি, ‘‘আমাদের সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার চাইছি। এটা টাকা বা চাকরির সমতুল্য হতে পারে না।’’ তার পরই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিতের কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা ।