৩০ বছর আগে মৃত মেয়ের জন্য ভূত পাত্র চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন

বেঙ্গালুরু, ১৩ মে– বিত্তশালীদের টাকা অপচয়কে ব্যাঙ্গ করে বলা হয় ‘ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ৷’ কিন্তু তাই বলে সত্যি সত্যি ভূতের বিয়ে! শুনেছেন কখনও৷ কর্ণাটকে আপাতত এই কথাটি শুনে ফেলেছেন অনেকেই৷ কারণ রীতিমতো কাগজে বিজ্ঞাপনও নিয়ে ভূত কনের জন্য ভূত পত্র চাওয়া হয়েছে৷ দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুট্টুর জেলার একটি পরিবার ৩০ বছর আগে মৃত মেয়ের জন্য একটি বরের ‘আত্মা’ চেয়ে কাগজে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছে৷
স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনটি দেখে সকলে আঁতকেই উঠেছেন৷ বিজ্ঞাপনে ৩০ বছর আগে মৃত মেয়ের জন্য পাত্র চাওয়া হয়েছে৷ উপযুক্ত, জাত-গোত্রের সমকক্ষ একটি পাত্রের আত্মা চেয়ে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, কর্ণাটকের একাংশে কুলি মাদিমে অথবা প্রীতা মাদুভে বলে একটি চিরাচরিত প্রথা চালু আছে৷ উদুপি ও দক্ষিণ কন্নডে়র উপকূলবর্তী জেলার টুলুনাড়তে কুলে মাদিমে অনুষ্ঠান বহু প্রাচীন একটি রীতি-সংস্কার৷ মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কার এই যে, অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেলে প্রেত শান্তি পায় না৷ তাই তাদের অতৃপ্ত আত্মাকে শান্তি দিতে এই প্রথার চালু হয়৷ এই প্রথা আসলে পিতৃ আরাধনের একটি অঙ্গ৷এই অনুষ্ঠানে দুই আত্মা বা প্রেতের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হয়৷ বিজ্ঞাপনে পরিবারটি একটি সুপাত্রের খোঁজ চেয়েছেন৷ বিজ্ঞাপনে যোগাযোগের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে৷ লেখা হয়েছে, কুলাল জাতের এবং বঙ্গেরা (গোত্র) গোত্রের একটি পাত্র চাই৷ পাত্রীর ৩০ বছর আগে মৃতু্য হয়েছে৷ একই জাতের এমন পাত্র চাই, যার ৩০ বছর আগে মৃতু্য হয়েছে৷ এবং যার পরিবারও প্রীতা মাদেভু পালন করতে ইচ্ছুক৷ মৃতার পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে অন্তত ৫০ জন সাড়া দিয়েছেন৷ খুব শীঘ্রই বিয়ের অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে৷ শুধু তাই নয়, গত ৫ বছর ধরে এমন একটি অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরা পাত্র খুঁজে চলেছেন৷ প্রথমে ভেবেছিলাম কাগজে বিজ্ঞাপন দিলে আমরা উপহাসের পাত্র হব৷ কিন্ত্ত, এখন দেখছি প্রচুর মানুষ সাড়া দিচ্ছেন৷