গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড রাজ্যে হরিদ্বার, দেরাদুন, তেহরি পুন্যার্থীদের সমাগম ঘটেছিল। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় তাদের বেশিরভাগ কোভিড পজিটিভ। অথচ মেলা ঢুকবার ছাড়পত্র হিসাবে কোভিড নেগেটিভ রিপাের্ট বাধ্যতামূলক ছিল।
উল্লখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রতিদিন ন্যূনতম ৫০ পুন্যার্থীদের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। এজন্য সরকারের খরচ হয়েছিল ৯ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তবে কোভিড রিপাের্ট জালিয়াতির পর্দাফাস হয় পাঞ্চাব থেকে।
পাঞ্চাবের এক ব্যক্তির মােবাইলে কুম্ভ মেলায় করােনা রিপাের্ট সংক্রান্ত ম্যাসেজ আসে। অথচ ওই ব্যক্তির দাবি- তিনি কুম্ভ মেলার আশেপাশেই ছিলেন না। তাছাড়া তিনি কোথাও কোভিড পরীক্ষা করাননি। তাই তার লালারস সংগ্রহে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। বিষয়টি তিনি আইসিএমআর’কে তথ্যসহ ইমেল করেন।
সেখানে তার দাবি ছিল- কেউ তার আধার কার্ড এবং মােবাইল নাম্বার জালিয়াতি করে এই কাজ করেছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার কে জানানাে হয়। এরপর হরিদ্বারে ডিএমসি রবিশঙ্কর তিন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গড়েন। সেখানে এক বেসরকারি ল্যাবের জালিয়াতি উঠে আসে। এরপর সরকারের অনুমােদন প্রাপ্ত ১৪ টি এবং কুম্ভ মেলা কমিটির অনুমােদন প্রাপ্ত ১০ টি সর্বমােট ২৪ টি ল্যাবের সম্পূর্ণ তথ্য তলব করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।