• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভুয়ো আদালতে ভুয়ো বিচারক, গুজরাটে গ্রেপ্তার ১ 

গুজরাটের গান্ধীনগরে ভুয়ো আদালতের হদিশ মিলল। ভুয়ো আদালত তো বটেই,  ভুয়ো বিচারকও ছিলেন সেই আদালতে। ভুল এই বিচারক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বেশ কয়ে বছর ধরে। জমি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই ভুয়ো আদালতের খোঁজ পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই ভুয়ো আদালত চলছিল। এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গুজরাটের গান্ধীনগরে ভুয়ো আদালতের হদিশ মিলল। ভুয়ো আদালত তো বটেই,  ভুয়ো বিচারকও ছিলেন সেই আদালতে। ভুল এই বিচারক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বেশ কয়ে বছর ধরে। জমি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই ভুয়ো আদালতের খোঁজ পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই ভুয়ো আদালত চলছিল। এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ধৃতের নাম নাম মরিস স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান। 

 

২০১৯ সালের একটি ঘটনার তদন্তে নেমে এই ভুয়ো আদালতের হদিশ মেলে । একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নাগার দায়রা আদালতের রেজিস্ট্রার প্রথমে এই আদালত সম্পর্কে সন্দিহান হন। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো বিচারককে গ্রেপ্তার করা হয়।  অভিযুক্ত  মরিস স্যামুয়েলের গান্ধীনগরে একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসটিকে আদালতের মতো করে সাজিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এর পর নিজেই সেখানে ‘বিচারক’ সেজে বসতেন।

 
জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আবেদনকারীর পক্ষে  ‘রায়’  দিয়েছিলেন অভিযুক্ত মরিস স্যামুয়েল । পাঁচ বছর আগের সেই রায়ের সূত্র ধরেই ভুয়ো আদালতের সন্ধান পায় পুলিশ। নগর দায়রা আদালতে যাঁদের জমিজমা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন, মূলত তাঁদেরই এই প্রতারণার জালে ফাঁসানো হতো। অভিযোগ উঠেছে তিনি একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে নগর দায়রা আদালতে জমে থাকা মামলা নিজের তৈরি আদালতে শুনানির জন্য নিতেন।


মরিস স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান ওই ভুয়ো আদালতে নিজে বিচারক সেজে বসতেন। তিনি তাঁর এই চক্রে কয়েকজনকে জুটিয়ে আদালতের কর্মচারী হিসেবে সাজাতেন।তাঁদের কাউকে আইনজীবী বা কাউকে আদালতের কর্মী  হিসেবে দাঁড় করাতেন। গোটা বিষয়টি এমনভাবে পরিচালনা করা হতো যাতে আপাতদৃষ্টিতে বোঝাই যেত না যে সেটি একটি ভুয়ো আদালত।  এই ভাবে আদালতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার একটি ঘটনা নগর দায়রা আদালতের রেজিস্ট্রারের নজরে আসে।  
 
নগর দায়রা আদালতের রেজিস্ট্রার হার্দিক দেশাইয়ের সন্দেহ হওয়ায় তিনি নিজে খোঁজখবর শুরু করেন। তখন তাঁর  নজরে আসে ওই নামে আদৌ কোনও বিচারক নেই। এরপর দেখা যায় আদালতটিও সাজানো। এর পর রেজিস্ট্রারই স্থানীয় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।  ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, সরকারি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।