ক্রমশ কমছে জনপ্রিয়তা, কমতে থাকা ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো৷ এ যেন অর্কুটেরই ভবিষ্যত দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে৷ তাহলে কি শেষ হতে চলেছে ফেসবুকও? আপনি ব্লুটিকওলা ‘সেলিব্রিটি’ হোন বা সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, ক্রমশ কমছে লাইক, কমেন্ট শেয়ার৷
ফেসবুক, ওয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্ম, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মনরোগ বিশেষজ্ঞরা৷ নতুন শতাব্দীর প্রথম দশক ডিঙিয়ে ফেসবুক হল অন্যতম জনপ্রিয় সমাজমাধ্যম৷ সমান্তরাল এক ভার্চুয়াল সমাজ গডে় তুলেছে সে৷ যার ভালো ও মন্দ দুই দিক রয়েছে৷ এর মধ্যেই ফেসবুকের গ্রাহকদের অভিযোগ, ইদানীংকালে ‘রিচ’ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্রমশ নতুন প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা৷ একদিকে যেমন নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমছে, তেমনই পুরনো গ্রাহকদের একটা অংশ অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে কিংবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছেন৷
১৭ বছরে প্রথমবার ২০২২ সালে বছরের শেষ দুই ত্রৈমাসিকে প্রায় ১০ লক্ষ ব্যবহারকারীকে হারিয়েছে ফেসবুক৷ ঘটেছিল এই বেনজির কাণ্ড৷ গ্রাহক কমায় তার আঁচ পডে়ছিল অভিভাবক সংস্থা ‘মেটা’র উপরে৷ লভ্যাংশ এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছিল৷ নেতিবাচক প্রভাব পডে় সংস্থার বিজ্ঞাপন ব্যবসাতে৷ এমনকী শেয়ার হ্রাস পেয়েছিল ২২ শতাংশ৷ বিশ্বব্যাপী রোজ প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন৷ তাই ১০ লক্ষ ব্যবহারকারীকে হারানো, সংখ্যার দিক থেকে নগণ্য মনে হলেও আদপে তা নয় বলেই মনে করেন কর্মকর্তারা৷
এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন নতুন প্রজন্ম ফেসবুককে আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছে না? সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কালের নিয়মে মুতু্যমুখে পতিত ফেসবুক৷ ঠিক যেভাবে নতুন শতাব্দীর শুরুতে হইচই ফেলা দেওয়া অর্কুটের মৃতু্য হয়েছিল৷ এখন যাদের বয়স ষোলো থেকে ছাব্বিশ, তারা যতখানি ইন্সটাগ্রামের ভক্ত, ততটা ফেসবুকের নয়৷ ফেসবুক, ওয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবের মধ্যে সবচেয়ে পিছনে রয়েছে ফেসবুক৷