সম্প্রতি ফেসবুকের নাম বদলে করে নতুন নাম মেটা হয়েছে। এই ঘোষণা করেছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। ভারতে ফেসবুক বিড়ম্বনা বেড়েছে। দিল্লি বিধানসভার ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ রক্ষার বিশেষ কমিটির কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় চেয়ে নিল ফেসবুক ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
দিল্লি বিধানসভার ওই কমিটিকে ইমেল করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাদের নিকট হাজির হওয়ার জন্য উপযুক্ত আধিকারিককে বেছে নিতেই সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক ইন্ডিয়া।
নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখে দিল্লি বিধানসভার ওই বিশেষ কমিটির কাছে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। শান্তি-সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার জন্য মিথ্যা ও ভুয়ো তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াগুলির ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য ২ নভেম্বর এক সিনিয়ার আধিকারিককে উপস্থিত থাকার জন্য আবেদজন জানিয়েছিল দিল্লি বিধানসভার ওই বিশেষ কমিটি।
রাজীব চাড্ডা এই কমিটির প্রধান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অজিত মোহনকে তলব করে দিল্লি বিধানসভা। এই তলবের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে ফেসবুক। জুলাই মাসে দিল্লি বিধানসভার এই কমিটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এই কমিটির অধিকার ক্ষমতাকেও স্বকৃতি দিয়েছিল আদালত। দিল্লি বিধানসভার এই কমিটির সচিব সদানন্দ শাহ ফেসবুককে লেখা চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিশাল আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী ছিল গোটা দিল্লি।
এরপরেই শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্মে ধর্মে বিভেদ রক্ষা করার ক্ষেত্রে এই বিশেষ কমিটি গঠন করে দিল্লি বিধানসভা। এই চিঠিতে পরে তিনি উল্লেখ করেন, দিল্লিতে যেহেতু লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন, তাই এই বিশেষ কমিটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শুনতে চেয়ে তাদের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায়।
জানা গিয়েছে ২ নভেম্বর বিধানসভার বিধায়ক লাউঞ্জে এই ফেসবুক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল বিধানসভার ওই বিশেষ কমিটির। ৩১ অক্টোবর বিকেল চারটের মধ্যে সংস্থার তরফে কে আসছেন তার নাম ও পদাধিকার উল্লেখ করে জানাতে বলা হয়েছিল।
